ইডেন উদ্যান থেকে এরোলকে ধন্যবাদ ব্রেথওয়েটের

‘‘এরোল, আমি পেরেছি। এখন আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’’ চার ছক্কা হাঁকানোর পর এমনটাই মনে মনে বলেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। কে এই এরোল? জানা গেল ব্রেথওয়েটের কাছেই। মিস্টার এরোল এডির তৈরি ব্যাটেই বিশ্বজয় করেছেন কার্লোস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ১৬:১৩
Share:

‘‘এরোল, আমি পেরেছি। এখন আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’’ চার ছক্কা হাঁকানোর পর এমনটাই মনে মনে বলেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। কে এই এরোল? জানা গেল ব্রেথওয়েটের কাছেই। মিস্টার এরোল এডির তৈরি ব্যাটেই বিশ্বজয় করেছেন কার্লোস। বলছিলেন, ‘‘এরোল এই ব্যাটটি বিশ্বকাপ খেলার জন্য বিশেষভাবে বানিয়ে দিয়েছিল আমাকে। ও আমাকে বলেছিল, কার্লোস যাও আর ছক্কা হাঁকাও। তাই ওকে ধন্যবাদ।’’

Advertisement

এ তো হল কার্লোসের চার ছক্কার সিক্রেট। কিন্তু কে এই কার্লোস ব্রেথওয়েট? একদিনের বিশ্বকাপে যাঁর দলেই জায়গা হয়েছিল না। তিনি আসলে বোলার। কিন্তু তাঁর বলের দাপটে তো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হয়েছে তাঁর ব্যাটের দাপটে। তিনি আসলে অল-রাউন্ডার। শেষ ওভারের প্রথম চার বলে চার ছক্কায় ইংল্যান্ডের সব আশায় জল ঢেলে বাজিমাত ক্যারিবিয়ানদের। তার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ৬ বলে ১৯ রান প্রায় অসম্ভব। একদিকে ওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মার্লন স্যামুয়েলস। তাঁর ব্যাট থেকে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস যেন ফিকে হয়ে গেল ব্রেথওয়েটের চার ছক্কার কাছে। ব্রেথওয়েট করলেন ১০ বলে ৩৪ রান। বলছিলেন, ‘‘ওই সময় নার্ভ ধরে রাখাটা কঠিন ছিল। যখন শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল। তবে আমি লক্ষ্য স্থির রাখার চেষ্টা করছিলাম আর স্যামুয়েলসের চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলাম।’’

বার্বাডোসে জন্ম এই গোল্ডেন বয়ের। ২০১১য় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ব্রেথওয়েটের। গত বছর বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তাঁর। এর পর অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের দলে জায়গা করে নেন এই ওয়ান্ডার বয়। আইপিএলও তাঁকে নিয়ে চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে ব্রেথওয়েটকে দলে নেয় দিল্লি ডেয়ার ড়েভিলস। রবিবার রাতের ইডেনে ব্রেথওয়েটের চোখ ধাঁধানো চার ছক্কা দেখে নিশ্চয় হতাশ হবেন শাহরুখ খান।

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লেয়ারদের বলা হয়েছিল, ‘বুদ্ধি নেই।’ জয়ের পর ব্রেথওয়েট মনে করিয়ে দেন সে কথাও। বলেন, ‘‘বলা হয়েছিল আমাদের নাকি ব্রেইন নেই। কারণ আমরা মাঠে নেমে সাফল্য আনতে পারিনি। তবে আমি তাদের উদ্দেশ বলতে চাই মাঠে ও মাঠের বাইরে আমরা যা করেছি সেটা দেশের ক্রিকেটের ভালর জন্যই।’’

কিন্তু চতুর্থ ছক্কার কথা একবারও ভাবেননি তিনি। বরং ভেবেছিলেন তুলে মারবেন আর সিঙ্গলস নেবেন। বলেন, ‘‘সিঙ্গলস নেওয়ার মতো জায়গায় ছিলাম না আমরা শেষ ওভারে। তিন ছক্কা পর ভেবেছিলাম চতুর্থ বলটা জোড়েই মারব স্যামুয়েলস ঠিক সিঙ্গলস নিয়ে নেবে। কিন্তু আমি এটাও জানতাম যদি সম্ভব হয় আমিই খেলাটা শেষ করব।’’ শেষটাও হল রাজার মতো।

আরও খবর

বিশ্বকাপ জিতে বোর্ডকেই জবাব ক্রিকেটারদের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement