১৯৬০ সালে মহম্মদ আলি তাঁর পদক ওহিয়ো নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন। —ফাইল চিত্র।
কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ এ বার নতুন মোড় নিল। হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় পদক বিসর্জন দিতে গিয়েছেন তাঁরা। এর পর ইন্ডিয়া গেটে আমরণ অনশনে বসবেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। কিন্তু এটাই প্রথম নয়, নদীতে অলিম্পিক্স পদক ফেলে দেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছিল। ১৯৬০ সালে মহম্মদ আলি তাঁর পদক ওহিয়ো নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন।
দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন কুস্তিগিরেরা। তাঁরা রবিবার নতুন সংসদ ভবনের দিকে এগোচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের জোর করে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। আটক করা হয় কুস্তিগিরদের। এর পরেই সাক্ষীরা ঠিক করেন তাঁরা পদক ফেলে দেবেন নদীতে। এই প্রতিবাদের ভাষা মহম্মদ আলির থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৬০ সালে আমেরিকার ওহিয়ো নদীতে পদক ফেলে দিয়েছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার। এক সাদা চামড়ার মানুষের রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করা হয়নি মহম্মদ আলিকে। তিনি কালো চামড়ার বলেই এমনটা হয়েছিল। বর্ণবিদ্বেষী এমন কাজের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছিলেন মহম্মদ আলি। প্রতিবাদ জানিয়ে পদক ফেলে দিয়েছিলেন নদীতে।
অলিম্পিক্স কর্তৃপক্ষ যদিও মহম্মদ আলির বিপক্ষে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ৩৬ বছর পর বক্সারকে তাঁর পদকের প্রতিরূপ দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে অ্যাটলান্টা অলিম্পিক্সে মশাল জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন মহম্মদ আলি। সেই সময়ের অলিম্পিক্স কমিটির সভাপতি জুয়ান সামারঞ্চ এসে মহম্মদ আলিকে প্রতিরূপ উপহার দিয়েছিলেন।
ভারতীয় কুস্তিগিরদের মধ্যে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বজরং এবং সাক্ষী। সেই পদক নিয়ে তাঁরা হরিদ্বারে গিয়েছেন। গঙ্গায় পদক বিসর্জন দিতে চান তাঁরা।