Tokyo Olympics 2020

দুবাইয়ে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি সারবেন মেরি

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ০৭:৩৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

এই মঞ্চে তিনি শাসন করেছেন বছরের পর বছর। কিন্তু দুবাইয়ে শুরু হতে যাওয়া এ বারের এশীয় বক্সিং প্রতিযোগিতা অন্য এক অর্থ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে মেরি কমের সামনে। যেখানে শুধুমাত্র পদক জয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না ছ’বারের বিশ্বজয়ী মহিলা বক্সারের লক্ষ্য। করোনার কারণে যে ভাবে ব্যাহত হয়েছে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি, এই মঞ্চে সেই ঘাটতি পূরণ করে নিজস্ব তীক্ষ্ণতা বাড়িয়ে মেরি টোকিয়োয় পদক জয়কে করে ফেলতে চান পাখির চোখ।

Advertisement

সাত বার এশীয় বক্সিংয়ে অংশ নেওয়া মেরির দখলে রয়েছে পাঁচটি সোনা এবং একটি রুপো। দুবাইয়ে ৫১ কেজি বিভাগে নামার আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেরি বলেছেন, “করোনা অতিমারির জন্য প্রশিক্ষণ প্রায় হয়নি বললেই চলে। ফলে অলিম্পিক্সের আগে নিজের ক্ষমতার মূল্যায়ন করার জন্য এই প্রতিযোগিতা খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বলা যেতে পারে, আমি রিংয়ে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।”

গত মাসে নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে বিশেষ জৈব সুরক্ষিত বলয়ে জাতীয় শিবির শুরু করা হলেও ঢুকে পড়ে মারণ ভাইরাস। বন্ধ করে দিতে হয় শিবির। বাধ্য হয়ে অন্য বক্সারদের সঙ্গে মেরিকেও যেতে হয় পুণের শিবিরে। ৩৮ বছরের বক্সার সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কাজটা আমার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। মার্চ মাসে স্পেনে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশে ফিরে আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। আমার সন্তানদের শরীর ভাল ছিল না। ফলে আমাকে ওদের দিকটাও দেখতে হয়েছিল। সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়েও একটা উদ্বেগ ছিল। তার পরে দিল্লিতে জাতীয় শিবির শুরু হওয়ার পরে তা স্থগিত হয়ে গেল করোনার জন্য।”

Advertisement

মেরি আরও বলেছেন, “এই বিষয়গুলো অনুশীলনে খুব প্রভাব ফেলেছিল। সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে এই এশীয় বক্সিং প্রতিযোগিতা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এত দিন পরে অন্তত একটা প্রতিযোগিতায় তো অংশ নিতে পারছি এবং আমি মনে করি, এর চেয়ে ভাল প্রস্তুতির মঞ্চ আর কিছু হতে পারে না।”

পুণেতে মেরি অনুশীলন সেরেছেন উন্নত মানের সেনা স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে। তারই মধ্যে নিয়েছেন করোনা প্রতিষেধকের প্রথম টিকা। মেরি বলেছেন, “শারীরিক ভাবে খুব ভাল জায়গায় রয়েছি। তবে আগেও যেটা আমি বলে এসেছি, সেই মন্ত্রেই বিশ্বাস রাখি। পদক জিতব কি না, তার জবাব দেবে সময়। আমার কাজ রিংয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া।” যোগ করেছেন, “যে হেতু প্রথম টিকা নিয়ে ফেলেছি, সেটা আমাকে অনেকটাই আশ্বস্ত করেছে। চেষ্টা করব পদক জেতার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement