boris becker

Boris Becker: জেলে আয় সপ্তাহে ৯৫০ টাকা, খাবার থেকে থাকার ঘর, কোনও কিছুই পছন্দ হচ্ছে না বেকারের

গত শুক্রবার বেকারের সঙ্গে জেলে দেখা করতে যান তাঁর বান্ধবী লিলিয়ান। তাঁকেই জেল জীবনের নানা সমস্যার কথা বলেছেন প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২২ ১৪:৫১
Share:

এই জেলেই আছেন বেকার। ফাইল ছবি।

ব্যাঙ্ক প্রতারণার দায়ে দিন কাটছে জেলে। সেখান মনের মতো কাজও পেয়েছেন নোভাক জোকোভিচের প্রাক্তন কোচ। কিন্তু জেলের খাবার পছন্দ হচ্ছে না বরিস বেকারের। সেই খাবার খেয়ে নাকি বেকারের পেটের সমস্যা হয়েছে।

কিউবার সিগার, ভাল ওয়াইন তাঁর বড় পছন্দের। কিন্তু লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলে সে সব পাওয়া যায় না। তাই মুখে রুচি নেই বেকারের। জেলের খাবারের স্বাদ মোটেও ভাল লাগছে না বেকারের। তাই তিনি জেলের ক্যান্টিন থেকে চকোলেট, বিস্কুট বা কলা কিনে খাচ্ছেন মাঝে মধ্যে। জেলে বেকারের সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক ১০ পাউন্ড। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ৯৫০ টাকা। তাতে কী আর বেকারের মতো টেনিস খেলোয়াড়ের চলে! তাও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন।

Advertisement

জেলের ৬ বর্গমিটারের কুঠুরিতে বন্দি থাকতে হচ্ছে প্রতি দিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত। বেকার একাই থাকতে চান। অন্য বন্দিদের সঙ্গে কুঠুরি ভাগ করতে রাজি নন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে অনুরোধও করেছেন। কিন্তু নিয়ম বড় বালাই। জেল জীবনের নিয়ম মতো প্রথম কয়েক দিনের পর তাঁকে হয়তো আরও কয়েক জন বন্দির সঙ্গে একটি বড় কুঠুরিতে রাখা হবে। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর অনুরোধের প্রক্ষিতে কোনও আশ্বাস দেননি।

দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের জেলে রাতে ভাল ঘুম হচ্ছে না বেকারের। সারা রাতই নাকি জেলে নানারকম শব্দ হয়। বেকারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক দিনের জেল-জীবনেই হাঁপিয়ে উঠেছেন প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়। আড়াই বছর কী ভাবে কাটাবেন, সেটাই এখন তাঁর সবথেকে বড় চিন্তা। বেকারের এক ঘনিষ্ঠ বলেছেন, ‘‘ও ভাবতেই পারেনি এত খারাপ অবস্থার মধ্যে থাকতে হবে। ওর সব থেকে খারাপ লাগছে জেলের খাবার। বেকার বিশ্বাসই করতে পারছে না এত খারাপ আর ছোট জায়গায় থাকতে হবে। প্রথম দিন ওকে ভুট্টা দানা দিয়ে শুয়োরের মাংসের একটা পদ খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেটা একদমই ভাল ছিল না। কিন্তু ওকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। জেলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন বেকার। জেলের বন্দির সংখ্যাও অত্যন্ত বেশি। এত ভিড় বেকারের পছন্দ হচ্ছে না।’’

Advertisement

ঘনিষ্ঠদের বেকার জানিয়েছেন জেলের খাবার খেয়েই তাঁর পেটের সমস্যা হয়েছে। তাঁর সন্দেহ শুয়োরের মাংস থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে। বেকারের ওই ঘনিষ্ঠ আরও বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি অসহনীয়। অমানবিকও বলা যেতে পারে। ওর কুঠুরিটা খুব ঠান্ডা। দিনের আলো প্রবেশ করে না বললেই চলে। বেকারের কাছে পুরো ব্যাপারটাই একটা বড় ধাক্কা। জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।’’

গত শুক্রবার প্রথম বার বেকারের সঙ্গে জেলে দেখা করতে যান তাঁর বান্ধবী লিলিয়ান ডি কার্ভালো। তাঁকেই জেল জীবনের নানা সমস্যার কথা বলেছেন জার্মান খ্যাতনামী। যদিও বিশেষ কারও সঙ্গে দেখা করতেও চাইছেন না বেকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement