শাস্তি হল বরিস বেকারের। ফাইল ছবি
আড়াই বছর জেল হল বরিস বেকারের। সম্পত্তি গোপন এবং কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। মোট চারটি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল শুক্রবার। জার্মান টেনিস তারকাকে আড়াই বছরের জন্য জেলে থাকতে হবে। শুক্রবার লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
৫৪ বছরের জার্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সাড়ে তিন লক্ষ পাউন্ড প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও তা গোপন করেন। পাশাপাশি উইম্বলডন ট্রফি, জার্মানিতে বহু স্থাবর সম্পত্তি এবং লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটের কথাও গোপন করেন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার সময়। স্পেনের মায়োরকায় একটি সম্পত্তি কিনতে তিন লক্ষ পাউন্ডের বেশি ব্যাঙ্ক ঋণ নেন তিনি। কিন্তু ঋণের কিস্তি শোধ না করে নিজেকে দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা করেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়।
ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ না করে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বেকার। আদালতে তিনি জানান, তাঁর দু’টি উইম্বলডন ট্রফি খোয়া গিয়েছে। পরে দেখা যায় বেকার বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা থেকে দামি জামাকাপড়-সহ বিপুল কেনাকাটা করেছেন। তদন্তে জানা যায় দুই প্রাক্তন স্ত্রী বারবারা এবং লিলি-সহ মোট ন’জনের অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি পাউন্ড পাঠিয়ে দেন। জার্মানিতে তাঁর একটি বিলাসবহুল বাংলো, একটি বহুজাতিক সংস্থার ৭৫ হাজার শেয়ার এবং লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটের কথাও গোপন করেন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার সময়।
শুক্রবার বান্ধবী লিলিয়ান দে কার্ভালহোকে নিয়ে সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত চত্বরে ঢোকেন বেকার। উইম্বলডনের সেই বিখ্যাত টাইও পরতে দেখা যায় তাঁকে। আইনজীবী রেবেকা চকলি বিচারককে জানান, ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে সত্য গোপন করেছেন বেকার। সব সত্যি জানানোর কথা থাকলেও অনেক কিছু গোপন করে যান। বিচারক ডেবোরা টেলর সব শোনার পরেই শাস্তি ঘোষণা করেন। ছ’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীকে মোট আড়াই বছরের কারাবন্দির নির্দেশ দেন।
পরে বেকারের উদ্দেশে বিচারক বলেন, “আপনাকে সতর্ক করা সত্ত্বেও আপনি পাত্তা দেননি। তার জন্যেই আপনাকে এই শাস্তি দিতে হচ্ছে। খ্যাতির চূড়া থেকে মাটিতে নামতে হল আপনাকে। আপনার টেনিসজীবন, জনপ্রিয়তা সব কিছু হারালেন নিজেকে মিথ্যে দেউলিয়া ঘোষণা করার কারণে। আপনি কোনও দুঃখপ্রকাশ করেননি বা অপরাধ স্বীকারও করেননি। তবে আমাদের তরফে আপনার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার কোনও চেষ্টা করা হয়নি।”