boris becker

Boris Becker: সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত, সাত বছরের জেল হতে পারে বেকারের

বেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাড়ে তিন লক্ষ পাউন্ড প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও গোপন করেন। একাধিক সম্পত্তির কথা গোপন করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩০
Share:

বরিস বেকার। ফাইল ছবি।

সাত বছর জেল হতে পারে বরিস বেকারের। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে শুক্রবার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন প্রাক্তন টেনিস তারকা। নিজেকে ২০১৭ সালে দেউলিয়া ঘোষণা করলেও তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। ২৯ এপ্রিল তাঁর সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

৫৪ বছরের জার্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সাড়ে তিন লক্ষ পাউন্ড প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও তা গোপন করেন। পাশাপাশি উইম্বলডন ট্রফি, জার্মানিতে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট থাকার কথাও গোপন করেন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার সময়। স্পেনের মায়োরকায় একটি সম্পত্তি কিনতে তিন লক্ষ পাউন্ডের বেশি ব্যাঙ্ক ঋণ নেন বেকার। কিন্তু ঋণের কিস্তি শোধ না করে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়।

Advertisement

আদালতে তিনি জানান, তাঁর দু’টি উইম্বলডন ট্রফি খোয়া গিয়েছে। পরে দেখা যায়, বেকার বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা থেকে দামী জামাকাপড়-সহ বিপুল কেনাকাটা করেছেন। তদন্তে জানা যায় দুই প্রাক্তন স্ত্রী বারবারা এবং লিলি-সহ মোট ন’জনের অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি পাউন্ড পাঠিয়ে দেন। জার্মানিতে তাঁর একটি বিলাসবহুল বাংলো, একটি বহুজাতিক সংস্থার ৭৫ হাজার শেয়ারের কথাও গোপন করেন নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার সময়। জার্মানিতে একটি বিলাসবহুল গাড়ির দোকান ছিল বেকারের। সাড়ে নয় লক্ষ পাউন্ডে সেটি বিক্রি করে দেওয়ার কথাও তিনি জানাননি।

ব্যাঙ্ক প্রতারণা-সহ মোট ২৩টি অভিযোগ ওঠে বেকারের বিরুদ্ধে। তদন্ত থেকে উঠে আসা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণও ছিল অধুনা লন্ডনবাসী বেকারের বিরদ্ধেই। ফলে তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া ছিল প্রত্যাশিতই। এর পরেও ইংরাজিতে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ হওয়া সত্ত্বেও আদালতে শুনানির সময় দোভাষী চেয়ে আবেদন করেন বেকার। ছ’টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের এই পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মনে করা হয় শুনানি প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করার জন্যই আদালতে জার্মান ভাষায় কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন বেকার। কিন্তু তাঁর সব চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement