মেলবোর্নের পাটা পিচেই অজিদের বিভীষিকা হয়ে উঠলেন বুমরা। ছবি: পিটিআই।
তীব্র গতিতে ছুটে আসা বলটাব্যাটের সামনে এসে সামান্য ঘুরে গেল। পেসের সঙ্গে মেশানো ঝাঁজালো ইনসুইং ইয়র্কার। ট্র্যাভিস হেড কিছু বুঝে ওঠার আগেই বলের ধাক্কা তাঁর উইকেটে। সেই সঙ্গে ৩৯ বছরের রেকর্ডও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন যশপ্রীত বুমরা।
সেই ১৯৭৯-এ প্রথম বার টেস্ট খেলতে নেমে এক বছরে ৪০ উইকেট নিয়েছিলেন দিলীপ দোশি। এত দিন পর্যন্ত কোনও ভারতীয় বোলার সে রেকর্ড ছুঁতে পারেননি। কিন্তু বুমরা পারলেন! টেস্ট অভিষেকের পর মাত্র ৯টি ম্যাচেই তাঁর ৪৫ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। এই ম্যাচে ইতিমধ্যেই ১৫.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এখনও তো অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস খেলা বাকি। ফলে ওই রেকর্ডে আরও যোগফল বাকি রয়েছে!
বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনে মেলবোর্নের পাটা পিচেই অজিদের বিভীষিকা হয়ে উঠলেন বুমরা। কখনও পেস, কখনও সুইং,আবার কখনও বা তাঁর হাতের স্লোয়ার বুঝেই উঠতে পারেননি অজিরা। আর তাতে ফায়দা লুটেছে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় দিনে মাত্র ৬৬.৫ ওভারেই ১৫১ রানে অবসান হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের। এবং তাতে ভারতের লিড দাঁড়িয়েছে ২৯২ রানের।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী বুমরার ছয় উইকেট, মেলবোর্নে ১৫১ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া
পেস, সুইং, স্লোয়ারে অজিদের ঠকিয়ে ৬ উইকেট শিকার বুমরার। ছবি: এপি।
বুমরার বোমায় অজিদের বিধ্বস্ত দেখতে দেখতে আর থেমে থাকতে পারেননি প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ধারাভাষ্য দিতে বসে তিনি বলেছেন, “বুমরা, তুমি জিনিয়াস!” আর ট্র্যাভিস হেডের আউট হওয়া দেখে বলে উঠেছেন, “পেসেই ঠকে গেল ট্র্যাভিস হেড। সুইংয়েও ঠকে গেল।”
আরও পড়ুন: বিরাটই পাল্টা দেবে অস্ট্রেলিয়াকে: ভিভ
লাঞ্চের পরও দেখা গেল বুমরাতে মজে রয়েছেন ক্লার্ক। বলেই ফেললেন মনের কথাটা, “এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার সবচেয়ে পছন্দের বোলার বুমরা।” আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে যদিও অন্য বোলারের নাম রয়েছে। তা সত্ত্বেও ক্লার্কের মতে, আর ১২ মাসের মধ্যেই তিনটে ফরম্যাটেই শীর্ষে উঠে আসবেন বুমরা।
টিম ইন্ডিয়ার পেস অ্যাটাকের অন্যতম অস্ত্র বুমরা। ছবি: এপি।
সেই সঙ্গে ক্লার্কের মন্তব্য, “এই ভারতীয় দলটার জন্য একটা ইটের পাঁচিলও ভেদ করে ফেলতে পারেন বুমরা। বিরাট কোহালি ওঁকে দিয়ে যত খুশি ওভার বল করাতে পারেন। যে কোনও প্রান্ত থেকে বল করাতে পারেন। নতুন বলে হোক বা পুরনো বলে, বুমরার তাতে কোনও তফাত হয় না। শুধু ভারতের সাফল্যে নিজের যোগদান রেখে যেতে চান।”
(খেলার দুনিয়া নিয়েবাংলায় খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরখেলাবিভাগে।)