প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের জেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকারে পাক খেতে থাকা আইপিএল কি বিদেশের মাটিতে হতে পারে? একেবারেই প্রাথমিক স্তরে থাকলেও এ নিয়ে হাল্কা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এখনও এর মধ্যে নানা যদি-কিন্তু রয়েছে। তবে যে ভাবে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরেও দেশের মাঠে আইপিএল করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হয়ে গেলেও আইপিএল করা কঠিন হতে পারে, যদি ভারতে করোনা নিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়।
ও দিকে, বোর্ড কর্তারা হিসাব কষে দেখেছেন, আইপিএল না-হলে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে। টিভি স্বত্ব থেকে প্রত্যেক বছরের আইপিএলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি প্রাপ্য বোর্ডের। তা আসবে না যদি আইপিএল বাতিল হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ভারতীয় ক্রিকেট কোষাগারে করোনার প্রভাব পড়তে দেননি। ক্রিকেটারদের বেতন হ্রাস করার প্রক্রিয়া অন্য দেশে শুরু হলেও এখানে সেই পথে হাঁটছেন না সৌরভরা। কিন্তু আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে তার আঁচ পড়তে পারে দেশের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ডেও।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ছিটকে দিতে ইচ্ছা করে ম্যাচ হারে ভারত, দাবি প্রাক্তন পাক তারকার
ফাঁকা স্টেডিয়ামে টিভি ইভেন্ট হিসেবেও যদি আইপিএল করা যায়, আর্থিক ক্ষতির বোঝা কমানো যাবে। এখন প্রশ্ন, বিদেশে আইপিএল হলে কোথায় হতে পারে? মোটামুটি যা ইঙ্গিত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি প্রথম পছন্দ। এর আগে ২০১৪ সালেও সেখানে আইপিএল হয়েছে। বড় মাঠ, একাধিক পাঁচতারা হোটেল, আইপিএলের মতো মহাযজ্ঞের আয়োজন করতে যা যা লাগে, সব ব্যবস্থাপনা রয়েছে। কেউ কেউ শ্রীলঙ্কার নাম বললেও আমিরশাহি অনেক এগিয়ে। করোনা সংক্রমণের জেরে টুর্নামেন্টের আগে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করতে হলে আমিরশাহির বড় বড় হোটেল কাজে আসবে। নানা দেশের সঙ্গে উড়ান সংযোগ-কেন্দ্র হিসেবে দুবাই পরিচিত। মরুদেশে করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে বলে খবর।
তবে সবই নির্ভর করছে ভারতে এবং সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি কী রূপ নেয়, তার উপরে। যে সব দেশ থেকে ক্রিকেটারেরা খেলতে আসবেন, সেখানে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না-আসে, টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্নই থাকবে। আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলও শুরু হতে হবে। এ দিনও বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকে শোনা গেল, একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বিদেশে আইপিএল নিয়ে যাওয়ার ভাবনা। আগামী এক মাস কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, তা দেখে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোনো সম্ভব। তত দিনে আইসিসি বৈঠকে ঠিক হয়ে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য।
আরও পড়ুন: ‘ও নিজে ক’টা ক্যাচ ধরেছে’, উথাপ্পাকে ‘বাউন্সার’ শ্রীসন্থের