ব্ল্যাকউডের দুর্দান্ত ইনিংস।
করোনা আতঙ্কের জন্য স্টেডিয়াম দর্শকহীন। ছিল না রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া শব্দব্রহ্ম। তবুও ক্রিকেট ফিরল তার যাবতীয় রোমাঞ্চ নিয়ে।
সাউদাম্পটনের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে সাউদাম্পটনের বাইশ গজে জাদুদণ্ড ঘোরালেন ব্ল্যাকউড। মাত্র পাঁচ রানের জন্য নিশ্চিত সেঞ্চুরি ফেলে এলেন তিনি। ৯৫ রানে আউট হয়ে ব্ল্যাকউড যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তত ক্ষণে জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে জেতার জন্য ২০০ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে পর পর উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে দেখাচ্ছিল ক্যারিবিয়ানদের। ঠিক তখন ব্ল্যাকউড রুখে দাঁড়ান।ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের রাস্তায় তুলে দিয়ে তিনি ফেরেন। ব্ল্যাকউডের অসমাপ্ত কাজটা শেষ করেন অধিনায়ক হোল্ডার ও ক্যাম্পবেল। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ২০৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩১৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকসদের পঞ্চম দিনে ৩১৩ রানে অল আউট করেন জ্যাসন হোল্ডারের ছেলেরা। গ্যাব্রিয়েল নেন পাঁচটি উইকেট। ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট পান তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিসি প্রধান হচ্ছেন? অবশেষে মুখ খুললেন সৌরভ
সিরিজে এগিয়ে যেতে হলে ২০০ রান তুলতে হবে ক্যারিবিয়ানদের। হাতে ছিল ৮৮ ওভার। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে আঘাত হানেন জোফ্রা আর্চার। ব্র্যাথওয়েট (৪), শাই হোপ (৯) ও ব্রুকস-এর (০) উইকেট দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চোট পেয়ে অবসৃত হন ক্যাম্পবেল (১)। লাঞ্চের সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল তিন উইকেটে ৩৫। এই পরিস্থিতি থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গড়ার কাজ করেন রস্টন চেজ এবং ব্ল্যাকউড।
জুটিতে ৭৩ রান জোড়েন দু’জনে। চেজকে (৩৭) ফেরান আর্চার। ইয়র্কার লেন্থে বল করতে করতে আচমকাই একটা বল তুলে আনেন তিনি। চেজ সামলাতে পারেননি সেই ডেলিভারি। বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন চার উইকেটে ১০০। ব্ল্যাকউডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডউরিচ। ৬৮ রান জোড়েন তাঁরা। স্টোকস ফেরান ডউরিচকে (২০)। স্টোকসের বলেই ফিরতে হয় ব্ল্যাকউডকে। দলকে বাঁচাতে চোট ভুলে মাঠে নেমে পড়েন ওপেনার ক্যাম্পবেল। বাকি কাজটা সারেন হোল্ডার (১৪) ও ক্যাম্পবেল (৮)।