যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ট্রফি হাতে বিয়ানকা আন্দ্রেস্কু। ছবি: এপি।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে রচিত হল ইতিহাস। তবে সেরেনা উইলিয়ামস নন, তাঁকে ৬-৩, ৭-৫ স্কোরে হারিয়ে প্রথম কানাডীয় মহিলা হিসাবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন বিয়ানকা আন্দ্রেস্কু।
২০০৬ সালে মারিয়া শারাপোভার পর কনিষ্ঠতম মহিলা হিসাবে ১৯ বছর বয়সী আন্দ্রেস্কু নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালেই জিতলেন। ছুঁয়ে ফেললেন মনিকা সেলেসকে। ওপেন এরা-র দ্রুততম মহিলা টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে নিজের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যামেই খেতাব জিতলেন তিনি।
আন্দ্রেস্কু জেতায় ২৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার মুখে এসেও ফের অধরাই থেকে গেল সেরেনার স্বপ্ন। এই নিয়ে টানা চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল হারলেন তিনি। দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না ৩৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলা সেরেনা।
আন্দ্রেস্কু এবারের ইউ এস ওপেনের আগে তাঁর কেরিয়ারে মাত্র দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ জিতেছিলেন। জয়ের পর আবেগপ্রবণ আন্দ্রেস্কু বলেন, ‘‘আমার অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রম অবশেষে সার্থক হল। সেরেনার মতো একজন প্রবাদপ্রতীম প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলাটাই আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার।’’
৩৭ বছর বয়সি সেরেনা ১৯৯৯ সালে যখন প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামজেতেন, তখনও জন্মাননি আন্দ্রেস্কু। পরাজয়ের পর আন্দ্রেস্কুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সেরেনা। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের সবটা দিয়েছি। ম্যাচের আগে আমি প্রতিপক্ষ কে তা না দেখে নিজের প্রস্তুতিতেই বেশি জোর দিই। বিয়ানকা আজ অসাধারণ টেনিস খেলেছে। ভেনাস বাদে একমাত্র বিয়ানকা জিতলেই আমি খুশি হতাম এবং সেটাই হয়েছে।’’
আইস হকির দেশের আন্দ্রেস্কুর এই জয় যে কানাডীয়দের মধ্যে টেনিসের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই জয়ের ফলে মহিলাদের র্যাঙ্কিং-এ পাঁচ নম্বরে উঠে আসবেন এই কানাডীয় যা তাঁর কেরিয়ারের সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: রজারের কাছাকাছি আসার সুযোগ, নির্লিপ্ত সেই রাফা
আরও পড়ুন: রজার এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারে