কোহলীদের অভিজ্ঞতাই প্রধান ভরসা। —ফাইল চিত্র
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নামার আগে হঠাৎই চিন্তার ভাঁজ বিরাট কোহলীদের শিবিরে। ইংল্যান্ডের বিমান ধরার আগে ৮ দিনের কঠোর নিভৃতবাস। ইংল্যান্ড পৌঁছে ১০ দিনের নিভৃতবাস। বিরাট কোহলীদের অনুশীলনে এর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বোলিং প্রশিক্ষক ভরত অরুণ এবং ফিল্ডিং প্রশিক্ষক আর শ্রীধর। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। জিততে তাই কোহলীদের অভিজ্ঞতাই প্রধান ভরসা মনে করছেন তাঁরা।
১৮ জুন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে ভারত। তার আগে অনুশীলনের কতটা সুযোগ পাবেন কোহলীরা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীধর বলেন, “আমার মনে হয় না অন্য কোনও উপায় রয়েছে। কতদিনের কঠিন নিভৃতবাস থাকবে জানি না। অনুশীলন ম্যাচ পাব কি না তার ওপরেও নির্ভর করবে দল কতটা তৈরি হতে পারবে। তবে দলের সকলেই অভিজ্ঞ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছে, ইংল্যান্ডের মাটিতেও খেলেছে। পরিস্থিতির সঙ্গে ঠিক মানিয়ে নেবে ওরা। অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করতে হবে।”
তবে পুরোপুরি তৈরি না হয়ে মাঠে নামা কোহলীদের জন্য ভাল দিকও হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন শ্রীধর। তিনি বলেন, “পুরোপুরি তৈরি না হয়ে মাঠে নামলে ক্রিকেটাররা মনোযোগ বেশি দেয়। যা সাফল্য এনে দিতে পারে।”
দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন। বাড়িতে বন্দি ক্রিকেটাররা। অরুণ জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই সময়। তিনি বলেন, “ঘরবন্দি ক্রিকেটাররা। তাই ওদের বেশ কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সবাই যখন একসঙ্গে হব, তখন সেরাটা বার করে নিতে হবে।”
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে দুটো টেস্ট খেলবে নিউজিল্যান্ড। এটা কেন উইলিয়ামসনদের জন্য সুবিধা করে দেবে বলেই মনে করছেন অরুণ। তিনি বলেন, “অবশ্যই ওদের জন্য সুবিধা করে দেবে। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে ওরা। আমাদের আগে ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা মনে করতে হবে।”