সুনীল ছেত্রী ফাইল চিত্র
স্বপ্নভঙ্গ সুনীল ছেত্রীর। শনিবার বাংলাদেশের বসুন্ধরা এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই এএফসি কাপ থেকে কার্যত বিদায় নিল বেঙ্গালুরু এফসি।
এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের কাছে ০-২ হেরেছিলেন সুনীলরা। নক-আউটে যোগ্যতা অর্জনের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য শনিবার জিততেই হত তাঁদের। মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয়ের খোঁজে রণকৌশলও বদলে ফেলেছিলেন বেঙ্গালুরুর জার্মান কোচ মার্কো পেজ়াইউলি। ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন তিনি। আক্রমণ ভাগে বিদ্যাসাগর সিংহ, ক্লেটন সিলভার সঙ্গে রেখেছিলেন সুনীলকে। তবে প্রথম একাদশে রাখেননি
উদান্ত সিংহকে।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বসুন্ধরার স্পেনীয় কোচ অস্কার ব্রুসোনও ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। এটিকে-মোহনবাগানের আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের মতো তাঁরও রণকৌশল ছিল সুনীলকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে না দেওয়া। মলদ্বীপে শনিবার বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বেঙ্গালুরুর। ১০ মিনিটে জয়েশ রানের শট বাঁচিয়ে দেন বিপক্ষের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। গতির বিরুদ্ধে ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বসুন্ধরা। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোনাথন ফার্নান্দেসের শট দুর্দান্ত ভাবে বাঁচান গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু বিদ্যাসাগরের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এই ম্যাচের উপরেই বেঙ্গালুরু এফসি-র ভবিষ্যৎ নির্ভর করছিল।