গতির অস্ত্রেই আজ অভিযান শুরু বাংলার

রঞ্জি অভিযানের শুরুতে কঠিন প্রতিপক্ষকে পেলেও বাংলা শিবির আত্মবিশ্বাসী। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং কোচ অরুণ লাল, দু’জনেই মনে করছেন, দল সম্পূর্ণ তৈরি হয়েই রঞ্জি অভিযানে নামছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

ভরসা: মনোজ-ডিন্ডার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলা। ফাইল চিত্র

বিপক্ষে সঞ্জু স্যামসন, জলজ সাক্সেনা, বাসিল থাম্পিদের কেরল। যাদের কাছে আগের বছর ইডেনে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। এ বার সেই দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে রবিন উথাপ্পার নামও। যিনি কর্নাটক থেকে চলে গিয়েছেন কেরলে।

Advertisement

রঞ্জি অভিযানের শুরুতে কঠিন প্রতিপক্ষকে পেলেও বাংলা শিবির আত্মবিশ্বাসী। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং কোচ অরুণ লাল, দু’জনেই মনে করছেন, দল সম্পূর্ণ তৈরি হয়েই রঞ্জি অভিযানে নামছে। আজ, মঙ্গলবার, তিরুঅনন্তপুরমে বাংলা-কেরল দ্বৈরথের আগে ফোনে অরুণ বললেন, ‘‘পিচ মোটামুটি ঠিকই লাগল। তবে পরের দিকে স্পিন করবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা দারুণ ভাবে তৈরি হয়েছি। নতুন মরসুমে নতুন ভাবে শুরু করতে চলেছি।’’ সোমবার রাত পর্যন্ত ঠিক আছে কেরলের বিরুদ্ধে তিন পেসার, দুই স্পিনার নিয়ে খেলতে পারে বাংলা। যে তিন পেসার হতে চলেছেন অশোক ডিন্ডা, মুকেশ কুমার আর ঈশান পোড়েল। বিতর্ক মুছে আবার বাংলা দলে ফিরে এসেছেন ডিন্ডা।

কেরলের পেস আক্রমণও বেশ শক্তিশালী। রয়েছেন সন্দীপ ওয়ারিয়ের, বাসিল থাম্পিরা। তবে যা খবর, তাতে পিচে পেসাররা বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে দুই পেসারে খেলতে পারে কেরল। অফস্পিনার অলরাউন্ডার জলজ সাক্সেনার সঙ্গে দেখা যেতে পারে লেগস্পিনার এল মিধুনকেও। সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিনার মণীশ বা জোসেফ। বাংলাও শেষ মুহূর্তে তিন স্পিনারের ছকে যায় কি না, সেটাও এখন দেখার।

Advertisement

তবে বিপক্ষ নয়, বাংলা ভাবছে নিজের দল নিয়ে। অরুণ বলছিলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ঠিক আছে তিন পেসার, দুই স্পিনারে খেলতে পারি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাল উইকেট দেখেই নেব।’’ অরুণ এও মনে করেন, এই মরসুমে সে রকম ছন্দে নেই কেরল।

ঈশ্বরন বলেছেন, ‘‘উইকেট দেখে বেশ স্পোর্টিং মনে হয়েছে। কাল সকালেই চূড়ান্ত এগারো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ অধিনায়ক মনে করছেন, তাঁর দলে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের আদর্শ মিশ্রণ আছে। অধিনায়কের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলে যেমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, তেমনই তরুণ মুখও আছে। গত এক বছরে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তবে আমার কাছে সব চেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল দলের ফিটনেস। দলের প্রত্যেকেই দারুণ ফিট। আমার কাছে এটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বদল।’’

বাংলার ব্যাটিংকে টানার দায়িত্ব থাকবে অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের উপরে। এ ছাড়া ঈশ্বরন নিজে তো আছেনই। মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাল খেলতে না পারলেও অরুণ ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে ভাল ফল করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমাদের হাতে যথেষ্ট ভাল ক্রিকেটারই আছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement