পেসাররা দাপট দেখালেও চিন্তায় ফেলছে বাংলার ব্যাটিং।—ফাইল চিত্র
বাংলার সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত বাংলা শিবির। গত বছর রঞ্জিতে একটি হাফসেঞ্চুরি করার পর থেকে কোনও রান পাননি। বিজয় হজারে ট্রফিতে ব্যর্থ। বাদ পড়েছিলেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দল থেকেও।
শেষ সাত ইনিংসে সুদীপের সর্বোচ্চ রান ২৫। রঞ্জি ট্রফিতে কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এক রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে তাঁর রান মাত্র ১৮। গুজরাতের বিরুদ্ধেও সুদীপের এই রানের খরা অব্যাহত থাকলে বাংলা শিবিরের সমস্যা যে আরও বাড়বে, তা বলার প্রয়োজন পড়ে না।
শোনা যাচ্ছে, আজ, সোমবার গুজরাতের বিরুদ্ধে ১৫ জনের দলে সুদীপকে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে বিশেষ আলোচনায় বসবেন কোচ অরুণ লাল, অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ও নির্বাচকেরা। সুদীপের পরিবর্ত হিসেবে প্রথম একাদশে অনুষ্টুপ মজুমদারকে নেওয়ার আলোচনাও হয়েছে। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচ শেষে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বিশেষ বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছিল কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। সূত্রের খবর, সুদীপের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রত্যেকে।
শনিবার অন্ধ্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র হওয়ার পরে অরুণ লাল বলেই দিয়েছিলেন, ‘‘টেকনিক অসাধারণ। এত রান করেছে। তবুও সুদীপের কী হয়েছে, বুঝতে পারছি না। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে রামন রান পাওয়ায় ওর ব্যর্থতা ঢেকে গিয়েছে। কিন্তু গুজরাতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলে কিন্তু বাংলাকেই ভুগতে হবে।’’
সুদীপের সঙ্গেই বিশেষ নজর দেওয়া হবে অশোক ডিন্ডার বিষয়ে। বোলিং কোচ রণদেব বসুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে বাদ পড়েছেন বাংলার পেসার। কিন্তু তিনি না থাকায় সুযোগ পেয়েও বিপক্ষকে ফলো অন করাতে পারেননি বাংলার পেসাররা। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, বি অমিত ও আকাশ দীপ বিপক্ষকে ১৮১ রানে অলআউট করলেও ডিন্ডার অভাব পূরণ করতে পারেননি। তাই সোমবারই আলোচনা হবে ডিন্ডাকে নিয়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচের আগের দিন ডিন্ডাকে বাদ দেওয়ার আগে ঘটনার কোনও ব্যাখ্যাই চাওয়া হয়নি বাংলার পেসারের কাছে। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করার পরে সিএবি-ও সুর নরম করেছে। এ বার ডিন্ডার থেকেও সেই ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।