মনোজ তিওয়ারিকে খেলানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিল বাংলা।
বুধবার থেকে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ বাংলার। এই ম্যাচ জিততে হলে, অধিনায়ককে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, সেটা পরিষ্কার। তাই ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন মনোজ। নেটে অনেকটা সময় কাটালেন। বাংলাকেও ভরসা দিলেন, বুধবারের লড়াইয়ে তিনি আছেন!
ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের পিচে ঘাস থাকলেও, মনে করা হচ্ছে তা নিপাট ব্যাটিং উইকেট। তাই জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাকে। এ হেন পরিস্থিতিতে বাংলার সবচেয়ে বড় ভরসা যে মনোজ নিজেই, সেটা সাইরাজ বাহুতুলের দল জানে। এবং এ দিন অধিনায়কের নেটে নেমে পড়া অনেকটাই চাপমুক্ত করেছে গোটা বাংলা শিবিরকে। মুম্বই থেকে ফোনে দলের এক সদস্য বলছিলেন, ‘‘এই ম্যাচ জিততে মনোজকে দরকার। ও থাকলে আমাদের ব্যাটিং শক্তিশালী তো হবেই, টিমের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’’ তবে নেটে নেমে পড়লেও বাইশ গজে মনোজকে দেখা যাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বাংলা শিবির অবশ্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পিচে ঘাস থাকায় তিন পেসারে সম্ভবত নামবে বাংলা। অশোক দিন্দা, মুকেশ কুমার ও বীরপ্রতাপ সিংহ। তবে বীরপ্রতাপের হালকা চোট আছে। তিনি শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারলে, প্রীতম চক্রবর্তী কিংবা ইস্টবেঙ্গলের ঈশান পোড়েল খেলতে পারেন। ঈশান খেললে এটা তাঁর অভিষেক ম্যাচ হবে রঞ্জিতে। দলের দুই স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা ও আমির গোনি।
রঞ্জি ম্যাচ চলাকালীন ব্রেবোর্নে থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, ৩ ফেব্রুয়ারি একটা ব্যক্তিগত কাজে মুম্বই যাচ্ছেন তিনি। সেখানে থেকে বাংলার ম্যাচ দেখতে যাওয়ার কথা সিএবি প্রেসিডেন্টের।
এ দিকে, ফ্র্যাঙ্ক ওরেল দিবসের প্রস্তুতি শুরু করে দিল সিএবি। এই প্রথমবার জগমোহন ডালমিয়ার অবর্তমানে। প্রসঙ্গত, এ বছর যুবরাজ সিংহের সই করা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে রক্তদাতাদের। তা ছাড়া জেলার সদরেও রক্তদান উৎসব হবে।