উদ্বেগ: উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট নন বাংলার কোচ অরুণ। ফাইল চিত্র
জয়পুরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে আজ তিন পেসারে নামার পরিকল্পনা বাংলা শিবিরের। পিচ দেখে কোচ অরুণ লালের উপলব্ধি, প্রথম দু’ঘণ্টায় কিছুটা সাহায্য পাবেন পেসাররা। তার পর থেকে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ হয়ে উঠবে সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামের বাইশ গজ।
বাংলা শিবিরে আশঙ্কা, ব্যাটিং পিচে চার দিনের মধ্যে ম্যাচ শেষ করা যাবে তো? রঞ্জি ট্রফির এলিট ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপ মিলিয়ে পঞ্চম স্থানে বাংলা। প্রথম পাঁচটি দলই সুযোগ পাবে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার। ছয় ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট ২০। কোয়ার্টার ফাইনালের স্থান পাকা করতে অন্তত ৯ পয়েন্ট পেতেই হবে মনোজ তিওয়ারিদের। বাংলা শিবির চায়, রাজস্থান থেকে ছয় পয়েন্ট নিশ্চিত করে পঞ্জাব উড়ে যেতে। কিন্তু সেই পথের কি কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে পিচ? জয়পুর থেকে ফোনে অরুণ বলছিলেন, ‘‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে বল ঘুরবে না। তাই তিন পেসার নিয়েই নামব। ব্যাটিং লাইন আপে কিছুটা বদল হতে পারে। অভিমন্যু (ঈশ্বরন) দলে ফিরছে। তাই তিন নম্বরে কাজি জুনেইদ সৈফিকে খেলানো হয় কি না দেখার।’’ অরুণ যোগ করেন, ‘‘এই পিচ থেকে ছয় পয়েন্ট পাওয়া কঠিন। কিন্তু আমরা এই ম্যাচটি অবশ্যই জিততে চাই। ইডেনে তিনটি ম্যাচ বৃষ্টি ও খারাপ আলোর জন্য ভেস্তে গিয়েছে। সেই তিনটি ম্যাচেই ভাল জায়গায় ছিলাম আমরা। সেই ঘাটতি এখন পূরণ করতে হচ্ছে আমাদের।’’
বাংলা শিবিরে সমস্যা একটাই। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন এখনও জয়পুর পৌঁছননি। ম্যাচের দিন সকালে নিউজ়িল্যান্ড থেকে ফেরার কথা তাঁর। যদি বিমান বিলম্বিত হয়, তা হলে রাজস্থান ম্যাচে তিনি নামতে পারবেন কি না, বলা কঠিন। সে ক্ষেত্রে নেতৃত্ব কে দেবেন? অরুণের উত্তর, ‘‘অবশ্যই মনোজ। তবে আমরা ইতিবাচক যে, সকালে সময় মতোই ফিরে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবে অভিমন্যু।’’
বাংলার বিপক্ষ শিবিরে সে রকম বড় নাম নেই। শেষ দু’টি ম্যাচ জিতলেও ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে তারা। মাহিপাল লোমরোর, অশোক মেনারিয়া ও অনিকেত চৌধরি ছাড়া জাতীয় ক্রিকেট মানচিত্রে সে রকম বড় নাম নেই। তাঁদের যদিও হাল্কা ভাবে নিতে চান না বাংলার কোচ। বললেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচই আমাদের কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই। ছয় পয়েন্ট পাওয়ার আগে হাল ছাড়া চলবে না।’’