উল্লাস: কেরলের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পরে অভিষেক রামন। নিজস্ব চিত্র
কেরলকে কম রানের মধ্যে বেঁধে রাখার কাজটা করেছিলেন বোলাররা। তিরুঅনন্তপুরমের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ মাঠে বাংলাকে লড়াইয়ে রেখে দিলেন অভিষেক রামন। তাঁর অনবদ্য ১১০ রানের সুবাদে দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার প্রথম ইনিংসে স্কোর ২৩৬-৬। বিপক্ষের প্রথম ইনিংসের রানের চেয়ে মাত্র তিন রান পিছিয়ে বাংলা।
মঙ্গলবার কেরলের রান ছিল সাত উইকেটে ২৩৭। এ দিন ম্যাচ শুরুর পরে মাত্র দু’রান যোগ করার ফাঁকেই বাকি তিন উইকেট তুলে নেন ঈশান পোড়েল এবং মুকেশ কুমার।
প্রথম ইনিংসে কেরল বড় রান না তুললেও বাংলা কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে। শুরতেই ২৬ রানের মধ্যে অভিমন্যু ঈশ্বরন (৪) ও কৌশিক ঘোষ (১১)-কে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। কেরল বোলারদের সামলে রুখে দাঁড়ান রামন ও প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। প্রথম দিনের খেলার শেষে অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বলেছেন, ‘‘রামন খুব ভাল ইনিংস খেলেছে। একবার উইকেটে জমে যাওয়ার পরে ও বড় স্ট্রোকও নিতে পারে।’’ রামনের সঙ্গেই কঠিন পরিস্থিতিতে ৯৯ রানের জুটি গড়েন মনোজ। ৯১ বলে ৫১ রান করে ফিরে যান প্রাক্তন অধিনায়ক। ঈশ্বরনের কথায়, ‘‘মনোজও এ দিন খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমরা মাত্র চার রান করলেই ওদের চেয়ে এগিয়ে যাব। আমরা চেষ্টা করব ৫০-৬০ রানে এগিয়ে থাকার।’’
ওপেনার অভিষেক রামনও উচ্ছ্বসিত তাঁর পারফরম্যান্সে। বুধবার রাতে তিরুঅনন্তপুরম থেকে ফোনে রামন বলছিলেন, ‘‘রঞ্জির প্রথম ম্যাচে রান পাওয়ার অনুভূতিই অন্য রকম। এটাই আমার আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করে তুলবে। ২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পরে মনোজদা ও আমি ইনিংস গড়ে তোলার কাজ করেছি। মনোজদাকে বলেছিলাম, যতটা সম্ভব বিপক্ষের রানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করব। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বার করে আনতে পেরে ভাল লাগছে।’’
বাংলার ওপেনার জানিয়েছেন, এই উইকেটে সহজে রান করা কঠিন। ‘‘দিনের শেষেও বল নড়াচড়া করেছে। আমিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছি। এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা আরও কঠিন,’’ বলেছেন তিনি।
আপাতত ক্রিজে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ও অর্ণব নন্দী। ২৫ রান করে উইকেটে থিতু শাহবাজ। অর্ণব করেছেন সাত রান। রামন বলছিলেন, ‘‘শাহবাজের উপরে আমাদের ভরসা আছে। অর্ণবদাও অভিজ্ঞ। আশা করি, বিপক্ষের সামনে বড় লক্ষ্য দিতে পারব আমরা।’’
মিঠুনের ছ’উইকেট: অভিমন্যু মিঠুন নিলেন ছয় উইকেট। কিন্তু দিনের শেষে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে খুব একটা ভাল জায়গায় নেই কর্নাটক।
মঙ্গলবারের ২৩২-৫ স্কোর নিয়ে খেলতে নেমে এ দিন উত্তর প্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৮১ রানে। মিঠুন ৬০ রানে তুলে নেন ছয় উইকেট। এ ছাড়া শ্রেয়স গোপাল পান দুই উইকেট। কিন্তু পাল্টা ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে কর্নাটকের রান দাঁড়ায় ১৬৮-৪। তারা এখনও ১১৩ রানে পিছিয়ে। দেবদূত পাড়িকাল ৭৪ রান করেছেন।
বিশাখাপত্তনমে অন্য ম্যাচে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ৬৯ রানে ব্যাটিং করছেন সৌরাষ্ট্রের চেতেশ্বর পুজারা। এর আগে রেলওয়েজের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে গেলে এখনও ৩৭ রান করতে হবে সৌরাষ্ট্রকে। ডিন্ডিগুলে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় রয়েছে হিমাচল প্রদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের রান ১৩৩-৭। এখনও পর্যন্ত ১৯৫ রানে এগিয়ে রয়েছে হিমাচল। এর আগে মাত্র ৯৬ রানে শেষ হয়ে যায় তামিলনাড়ুর প্রথম ইনিংস। বৈভব অরোরা তিন উইকেট নিয়েছেন। অন্য ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে ২১ রানে এগিয়ে রয়েছে মধ্য প্রদেশ। বরোদার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২২২ রানে। ক্রুণাল পাণ্ড্য ৬৪ রান করেছেন। এ ছাড়া ইউসুফ পাঠান ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন।