‘কোচ’ সৌরভের টোটকা, বঙ্গ ক্রিকেট পাঠে বিরাট-সচিন

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির অতীব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এক নতুন ‘কোচ’ পেয়ে গেল বাংলা। যিনি টিমের অফ ফর্মে থাকা কয়েক জন তরুণ ব্যাটসম্যানকে যুদ্ধের আগে হাতেগরম ক্রিকেট-পাঠ দিয়ে রাখলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৭
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: উৎপল সরকার।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির অতীব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এক নতুন ‘কোচ’ পেয়ে গেল বাংলা। যিনি টিমের অফ ফর্মে থাকা কয়েক জন তরুণ ব্যাটসম্যানকে যুদ্ধের আগে হাতেগরম ক্রিকেট-পাঠ দিয়ে রাখলেন।

Advertisement

ইনি— সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!

বৃহস্পতিবার সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঠে বাংলার চার জনকে নিয়ে আলাদা ক্রিকেট-ক্লাস করেন সিএবি প্রেসিডেন্ট। এঁরা— অলরাউন্ডার সায়নশেখর মণ্ডল, উইকেটকিপার অগ্নিভ পান, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পঙ্কজ সাউ এবং অলরাউন্ডার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। প্রথম তিন বাংলার হয়ে নিয়মিত খেলছেন এবং কয়েকটা ম্যাচ ধরে তাঁদের অফ ফর্ম চলছে। আর শেষোক্ত জনকে খেলানো হতে পারে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নাগপুরে যদি টার্নার পাওয়া যায়, তবে।

Advertisement

এ দিন মাঠে কখনও বিরাট কোহালি, কখনও সচিন তেন্ডুলকরের উদাহরণ টেনে বঙ্গ ক্রিকেটারদের ক্রিকেট-পাঠ দিতে দেখা যায় সৌরভকে। সায়নশেখর যেমন। সৌরভ তাঁর অফ ফর্মের টোটকা হিসেবে হাজির করেন সচিনের উদাহরণ। বলেন যে, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সচিন প্রথম দিকে রান পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। ‘‘দাদি তাই বললেন টেনশন না করতে,’’ পরে বলছিলেন সায়ন। পঙ্কজ সাউ— তাঁকে শোনা গেল আবার সৌরভ বলেছেন, টাইমিংয়ের উপর জোর দিতে। বুঝিয়েছেন, ক্রিজে প্রথম আধঘণ্টা কাটানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই সময়টুকু কাটিয়ে ফেলতে পারলে বাকিটা ব্যাটসম্যানের হতে পারে। ঋত্বিকের টেকনিক শুধরোনোর সময় আবার বিরাট কোহালিকে টেনে আনেন সৌরভ। বিরাট কী ভাবে স্পিন খেলেন, বুঝিয়ে দেন। ‘‘বিরাটেরটা বললেন। আর পেসার খেলার সময় বলেছেন খুব প্রয়োজন না হলে ব্যাকফুটে না যেতে,’’ বললেন ঋত্বিক।

এ রকম ছোট ছোট পরামর্শ। বঙ্গ শিবিরের মনে হচ্ছে, সৌরভ নিজে এ ভাবে নেমে পড়ায় টিমের লাভই হল। বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি পরে বললেন যে, ‘‘এই দু’টো দিন খুব ইউজফুল গিয়েছে। গত কাল দাদার সঙ্গে আমার আর কোচের সেশনের পর আজকেরটা। চার জনকে কোন ধরণের উইকেটে কী স্টান্স হবে, কী ধরণের মানসিকতা হবে, দাদি বলে দিয়েছে।’’

কিন্তু এত করেও মুম্বইকে হারানো যাবে তো?

নকআউট পর্বে যেতে হলে অন্তত ২৫ পয়েন্ট মতো লাগবে। বাংলার এখন ৫ ম্যাচে ১৬। গ্রুপে তারা পাঁচে। পড়ে থাকা তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথমটাই মুম্বই। সম্ভব হারানো? সৌরভ বললেন, ‘‘কেন নয়? মুম্বইকে আমরা তো হারিয়েছি কেএসসিএ টুর্নামেন্টে।’’ কিন্তু লাহলি-বিপর্যয়ের পর ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে না? সৌরভের উত্তর, ‘‘ক্রিকেটে এ রকম হতেই পারে। চলতি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটা ইংল্যান্ডের দিকে ছিল। পরেরটা জিতল ভারত।’’

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এ দিন দল নির্বাচন হল। বৈঠকের মাঝপথে এক নির্বাচককে তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হল ঠিকই , কিন্তু টিমে একটাই বদল। অভিষেক রমন। অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে যিনি ওপেন করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement