প্রতীকি চিত্র
‘ঠাকুর থাকবে কত ক্ষণ ঠাকুর যাবে বিসর্জন!’ কেন হয় দেবীর বিসর্জন? জানুন অজানা গল্প
আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। সারা বছর ধরে আমরা যে দুর্গা পুজার অপেক্ষা করি, তার শেষ হয়ে আসছে। ষষ্ঠী থেকে নবমী পেরিয়ে দশমী এসে উপস্থিত। মন খারাপের পালা। ছুটি কাটিয়ে ব্যস্ত জীবনে ফেরার পালা। দিকে দিকে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। কিন্তু মা দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয় কেন? এক বছর ধরে যে দুর্গাকে পুজো করার জন্য এত আয়োজন তাকে জলে বিসর্জন দেওয়া হয় কেন?
হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয় পঞ্চ উপাদানে গড়া এই মানব শরীর। আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি। এই জন্যই নিরাকার ঈশ্বরকে সাকার রূপ দেওয়ার জন্য আমরা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করি। আবার সে জলেই বিলীন করে দিই। প্রাণহীন মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলে সেটি হয়ে ওঠে প্রতিমা। তাই জলে বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত হয়েছে। উপাসনার জন্য নিরাকার ঈশ্বরকে সাকার করতে মাটির প্রতিমায় প্রতিষ্ঠা করা হয় আবার পুজো শেষে সেই ঈশ্বরের সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে পুনরায় হৃদয় স্থান দেওয়া হয়। অর্থাৎ পঞ্চতত্ত্বের একটি হল মাটি যা দিয়ে আকার গড়া হয়, আবার আরেকটি জল- যেখানে নিরঞ্জন হয়।
তবে তত্ত্ব যাই থাক না কেন, ‘ঠাকুর থাকবে কত ক্ষণ ঠাকুর যাবে বিসর্জন’- এই অমোঘ সত্যি নিয়েই প্রতিমা বিসর্জন হয় আর আপামর বাঙালি আবার একটি নতুন বছরের অপেক্ষায় থাকে।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।