পঞ্চম দিনে কোনও বাংলার ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ছবি: পিটিআই
১৪ বার রঞ্জি ফাইনাল খেলে বাংলার জয় এসেছে মাত্র দুটোতে। তার মধ্যে একটা আবার দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে, সেই ১৯৩৯ সালে। অধিনায়ক ছিলেন টিসি লংফিল্ড। বার বার ফাইনালে হার যেন গায়ে সেঁটে দিয়েছে চোকার্স তকমা। রঞ্জি না জেতাকে প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলা বাংলা যে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসাবে সবচেয়ে বেশি বার ফাইনাল খেলেছে, তা যেন সবাই ভুলতে বসেছে।
১৯৩৯ সালের সেই ফাইনালে ওয়াজির আলির সাদার্ন পঞ্জাবকে ১৭৮ রানে হারিয়ে দেয় টিসি লংফিল্ডের বাংলা। তার পর একের পর এক রঞ্জি এসেছে, গিয়েছে। কিন্তু জয় আসেনি বহু যুগ।
দ্বিতীয় জয় আসতে অপেক্ষা করতে হয় ৫১ বছর। তৎকালীন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে সেই ম্যাচে অভিষেক ঘটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই জয়ের মূল কাণ্ডারি ছিলেন বর্তমান বাংলা কোচ অরুণ লাল। তাঁর অপরাজিত ৫২ রান বাংলাকে পৌঁছে দেয় জয়ের সরণিতে। সৌরভ করেছিলেন ২২ রান।
ফাইনাল হলেই হার! রঞ্জির বাংলা যেন চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকার দেশি সংস্করণ
Posted by Anandabazar Khela on Friday, 13 March 2020
অশোক মলহোত্র, দীপ দাশগুপ্তর নেতৃত্বে দল ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে পারেনি। দীপের নেতৃত্বে পর পর দু’বার ফাইনালে ওঠে বাংলা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির কাছে হারে সেই দল।
এ বারে জয়ের আশায় বুক বাঁধছিল বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনুস্টুপের ব্যাট দেখাচ্ছিল সেই আশা। শেষ দিনে দরকার ছিল মাত্র ৭২ রান। তা হলেই চলে আসত রঞ্জি ট্রফি। কিন্তু পারলেন না রুকুরা। উনাদকটদের দাপটে প্রথম বারের জন্য রঞ্জি জিতল সৌরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: স্বপ্নভঙ্গ! রঞ্জিতে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে
১৯৯২ সাল থেকে চার বার একদিনের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জিততে পারেনি এক বারও। আইসিসি টুর্নামেন্ট মানেই যেন গুটিয়ে যায় প্রবল পরাক্রমী প্রোটিয়ারা। এ সবের জন্য চোকার্স তকমা লেগে গিয়েছে তাদের গায়ে। ১৪ বার রঞ্জি খেলে মাত্র দুই বার জিতে বাংলাও যেন দক্ষিণ আফ্রিকারই দেশি সংস্করণ।
ফের শুরু অপেক্ষার। তিন বার ফাইনাল খেলেও রঞ্জি জেতা হল না মনোজের। অপেক্ষায় থাকবেন তিনিও।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বাতিল ম্যাচ, ফাঁকা ইডেনেই লড়াই বিরাটদের