লড়াই: ১১৪ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত অভিমন্যু। ফাইল চিত্র।
বরোদাকে প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট করার পরে ৮৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলার ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদার ইনিংস। ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলার রান ১৪৬। জিততে হলে এখনও প্রয়োজন ২০৩ রানের। ক্রিজ়ে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলার ওপেনিং জুটি দলের মধ্যে জেতার বিশ্বাস তৈরি করার দায়িত্ব নেয়। ৮৯ রান যোগ করেন সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্যু। ৮০ বলে ২৭ রান করে সুদীপ ফিরে গেলেও অভিমন্যুকে পরাস্ত করতে পারেননি ক্রুণাল পাণ্ড্যরা। ১১৪ বলে ৭৯ রান অপরাজিত রয়েছেন বঙ্গ অধিনায়ক। ৫১ বলে ২২ রানে ক্রিজ়ে রয়েছেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ। ইতিমধ্যে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন তাঁরা। আজ, রবিবার চতুর্থ দিনে এই জুটি দলকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তার উপরেই নির্ভর করছে বাংলার ভবিষ্যৎ।
কোচ অরুণ লাল বলছিলেন, ‘‘এই জুটির উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। চতুর্থ দিন প্রথম এক ঘণ্টা যদি ওরা টিকে যেতে পারে, তা হলে এই ম্যাচ হারার কোনও কারণ নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘আমাদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা অবশ্যই আছে। কিন্তু অনেকেই ছন্দে নেই। তাদের নিয়ে কিছুটা
চিন্তা তো আছেই।’’
সুদীপ চট্টোপাধ্যায় তৃতীয় দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই তিন নম্বরে তাঁকে পাঠানো হয়নি। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় সেই জায়গায় নেমে এক বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে চতুর্থ দিন মনোজ তিওয়ারির আগেই পাঠানো হবে ঋত্বিককে। অরুণের কথায়, ‘‘আমাদের বাঁ-হাতি ব্যাটার আগে নামাতে হবে। মনোজ মাঝের দিকে থাকলে দলের মনোবল বাড়বে।’’
বাংলাকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেন পেসাররাই। তিনটি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপ। ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে শেষ করলেন ঈশান। ছ’উইকেট আকাশের। নিজে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকলেও বোলারদের প্রশংসা করলেন অভিমন্যু। বলছিলেন, ‘‘বোলাররা ভাল বল না করলে ওদের ২৫৫ রানে অলআউট করতে পারতাম না। ম্যাচের মধ্যে থাকাও হত না তখন।’’
অভিমন্যু এখনও আত্মবিশ্বাসী। শেষ বার রাজস্থানের বিরুদ্ধে তিনশোর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলা। এ বার বরোদার বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জেতার ব্যাপারে
তিনি আশাবাদী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বরোদা ১৮১ ও ২৫৫ বনাম বাংলা ৮৮ ও ১৪৬-২ (ঈশ্বরন ৭৯ অপরাজিত)।