বেন স্টোকসকে।—ছবি রয়টার্স।
বেন স্টোকস মনে করেন, এখন আর সবাইকে খুশি করতে তিনি ক্রিকেটটা খেলেন না। বরং নিজেকে আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত বলেও দাবি করলেন।
আঠাশ বছরের অলরাউন্ডার স্টোকস এ বার ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা তাঁকে জো রুটের সহকারী করেছেন। দু’বছর আগে পানশালার বাইরে ঝামেলায় জড়িয়ে নির্বাচসনও ভোগ করতে হয় স্টোকসকে। পাঁচ মাস বাইরে ছিলেন। ২০১৮ সালের অগস্টে আদালত তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করার পরে আবার ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফেরেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেছেন, ‘‘সবাইকে খুশি করার কাজটা জীবন থেকে ছেঁটে ফেলেছি। পিছনের দিকে তাকালে মনে হয়, আমার একটা সময় ব্যর্থ হওয়ার জন্য সম্ভবত সেটাই দায়ী ছিল।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বলছি না পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছি। তবে অনেক পরিণত হয়েছি। আগে অনেক কিছুই বুঝতাম না। এখন কিন্তু সবই প্রায় বুঝতে পারি।’’
রিকি পন্টিং সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার আতঙ্ক হতে পারেন স্টোকস। যা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জানি না সত্যিই সে রকম কিছু কি না। একটা সময় ছিল যখন প্রতি মুহূর্তে সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করতাম। এখন কিন্তু যারা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, শুধু তাদের কথা ভাবি। তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। এমন কিছু করে যেতে চাই যাতে ক্রিকেট জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।’’
গত সপ্তাহে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল স্টোকসকে। যা নিয়ে ইংরেজ অলরাউন্ডারের মন্তব্য, ‘‘আইরিশদের বিরুদ্ধে খেলতে না পেরে খুব খারাপ লেগেছে। তবে অ্যাশেজ সিরিজের দলে ফিরে ভীষণ উত্তেজিত। আমি আর জো (রুট) দু’জনে মিলে এ বার সব কিছু করতে চাই।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু সব কিছু মেনে নিতে ওর পাশে থাকব না। যেখানে যা দরকার, তার জন্য প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই নিজস্ব মতামত জানাব।’’