কৃতজ্ঞ: কঠিন সময়ে পরিবারকে পাশে পান স্টোকস। ফাইল চিত্র
অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে তাঁর ক্রিকেট জীবন গড়ে উঠেছে। বর্তমানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। এমনকি তিনিই ইংল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছেন। এখনও ব্রিস্টলের সেই পানশালার কথা মনে পড়লে সময় থমকে যায় বেন স্টোকসের। তাই বিশ্বকাপ জেতার পরে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। স্ত্রীর সামনেই কেঁদে ফেলেন।
২০১৭ সালে ব্রিস্টলের পানশালায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্টোকস। তার জন্য ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে নির্বাসিত করেন। টেস্টের সহ-অধিনায়কত্বের সঙ্গে অ্যাশেজ থেকেও বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফিরে আসেন স্বমেজাজে। তাই দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ দেওয়ার পরে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমকে স্টোকস বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ জেতার পরে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যখন দেখা করি, তখন আগের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। মনে পড়ছিল ব্রিস্টলের সেই ঘটনার পরে আমার পরিবার কী ভাবে উঠে দাঁড়াতে আমাকে সাহায্য করেছিল।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বকাপ জিতিয়ে কি শাপমুক্তি হল? স্টোকসের উত্তর, ‘‘খেলোয়াড়দের জীবনে ভাল দিনও যেমন আসবে, তেমনই আসতে পারে খারাপ দিন। বিশ্বকাপ জিতিয়ে শাপমুক্তি হয়েছে একেবারেই বলব না। এ রকম ভাবে বিষয়টি আমি দেখি না।’’
স্টোকসই আরও বলেন, ‘‘প্রচণ্ড কষ্টে কাটিয়েছি সে দিনগুলো। এমনকি ক্রিকেট খেলতে পারব কি না তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। কিন্তু এই মাঠই আমাকে আগের সব যন্ত্রণা ভুলতে সাহায্য করেছে। দর্শকের চোখে খলনায়ক থেকে কিছুটা ভাল হওয়ার সুযোগ এই মাঠই আমাকে দিয়েছে।’’
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলার পরে আরও এক বার আগের সব কথা মনে পড়ে যায় স্টোকসের। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও সন্তানের সামনে। ‘‘আমি একেবারেই কান্না ধরে রাখতে পারিনি। খুব কষ্ট হচ্ছিল। কোনও ভাবেই মাথা থেকে আগের কথা বার করে দিতে পারছিলাম না। দর্শকের বিদ্রুপ থেকে মায়ের কান্না। সব কিছু চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।’’
বিশ্বকাপ বিজয়োৎসবের মধ্যেই স্টোকসদের তৈরি হতে হবে অ্যাশেজের জন্য। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যর্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না স্টোকস। বলছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপ জিতেছি ঠিকই। কিন্তু এখনও সব কাজ শেষ হয়ে যায়নি। অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে না পারলে কোনও মানে থাকবে না। কয়েক দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরেই জোরকদমে শুরু করে দিতে হবে প্রস্তুতি।’’