উচ্ছ্বাস: বিশ্বকাপের পরে অ্যাশেজেও ইংল্যান্ডের ত্রাতা। হেডিংলেতে দলকে জিতিয়ে হুঙ্কার বেন স্টোকসের। এএফপি
অ্যাশেজের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসটা দেখে নিলেন হেডিংলের দর্শকরা।
জয়ের জন্য ৩৫৯ রান করতে হবে এই অবস্থায় খেলতে নেমে রবিবার, চতুর্থ দিনে একটা সময় ইংল্যান্ডের রান দাঁড়ায় নয় উইকেটে ২৮৬। ইংল্যান্ডের সমর্থকেরা ধরেই নিয়েছিলেন, সিরিজে ২-০ এগিয়ে যেতে চলেছে টিম পেনের দল। কিন্তু এক জনই অন্য রকম ভেবেছিলেন। তিনি বেন স্টোকস। নিজের সেরা ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে তৃতীয় টেস্টে জিতিয়ে দিলেন এই অলরাউন্ডার। অপরাজিত থাকলেন ১৩৫ রানে। এক উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। শেষ উইকেট জুটিতে উঠল ৭৬ রান।
তবে শেষ দিকে ভাগ্যও সহায় হয়েছে ইংল্যান্ডের। স্টোকসের দুটো কঠিন ক্যাচ পড়ে যায়। একটি নিশ্চিত এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। পরে টিভি রিপ্লে-তে বোঝা গিয়েছে, বল উইকেটে লাগছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হাতে তখন আর কোনও ডিআরএস অবশিষ্ট ছিল না। এর ঠিক আগের বলেই সহজ একটা রান আউট ফস্কান নেথান লায়ন।
কিন্তু এতেও স্টোকসের এই রাজকীয় ইনিংসের মর্যাদা কোনও মতেই কমছে না। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে অনেক অদ্ভুত ব্যাপার দেখেছি ক্রিকেট মাঠে। আবার যে দেখতে পাব, ভাবতে পারিনি।’’
এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালেও স্টোকসের নায়কোচিত ইনিংস চ্যাম্পিয়ন করেছিল দলকে। এ বার অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেও একই ঘটনা ঘটল। যা দেখে প্রশংসার বন্যা বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান জেফ বয়কটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘জীবনে অনেক স্মরণীয় ক্রিকেট মুহূর্ত দেখেছি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে গত ৫০ বছরে এটাই আমার দেকা সেরা টেস্ট ইনিংস। বেন স্টোকস অ্যাশেজে বাঁচাল ইংল্যান্ডকে। ওর এই প্রেরণাদায়ক ইনিংস বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের চেয়েও ভাল।’’
এই মুহূর্তে জি সেভেনের বৈঠক চলছে। যেখানে বৈঠকের শুরুতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানান অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের এই দর্শনীয় জয়ের জন্য।