ফুটবল-হকির মতো খেলাগুলি অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত হলেও বরাবরই ব্রাত্য ছিল ক্রিকেট। শেষ বার অলিম্পিকে ক্রিকেট হয়েছিল ১৯০০ সালে, প্যারিস অলিম্পিকে। ফলে, বহু দিন ধরেই ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আগামী ২০২৪-এর অলিম্পিকেও ক্রিকেটকে ফেরানোর চেষ্টা করছে আইসিসি। তবে, সে জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পাশে চাইছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কাউন্সিল(আইওসি)-এর তরফে জানানো হয়েছে, বিডিং-এ অংশ নিতে প্রথম সারির ক্রিকেট দল এবং ক্রিকেটারদের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে অলিম্পিকে ক্রিকেটকে ঢোকাতে বিসিআইয়ের সমর্থন চাইছে আইসিসি।
কিন্তু, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার অধিকাংশ আধিকারিকই এই প্রস্তাবের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: সব চেয়ে বড় সমালোচক কে? ৫০ টেস্ট খেলতে নামার আগে নিজেই জানালেন পূজারা
এই বিষয়ে বিসিসিআইযের এক কর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্গত করতে আইসিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে আমরা অবগত। তবে, আমাদের অধিকাংশ সদস্যই এ বিষয় উৎসাহী নন।” এ ছাড়া অলিম্পিকে ভারত খেললে দেশের ক্রিকেট কতটা আর্থিক ভাবে উপকৃত হবে সেই বিষয়েও সন্ধিহান বিসিসিআই।
অলিম্পিকে ভারত অন্তর্ভুক্ত হলে বিসিসিআইয়ের সার্বভৌমত্বও যে প্রশ্নের মুখে পড়বে, তা-ও এ দিন মনে করিয়ে দেন বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় দল যদি অলিম্পিকে অংশ নিতে চায় তা হলে বিসিসিআইকে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সেই সময় স্বশ্বাসিত সংস্থা বিসিসিআই-এর সেস্টাস কী হবে, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘সর্বসেরা নেতার দৌড়ে ধোনির পাশেই বিরাট’
উল্লেখ্য, ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তি করতে আগামী সেপ্টেম্বরেই আয়োজিত হবে বিডিং। তবে, এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারতীয় বোর্ড। দেশবাসী যে অলিম্পিকের পক্ষেই থাকবেন তা ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কর্তারা। ফলে সরাসরি আইসিসির প্রস্তাবে না-ও বলেনি ভারত। তা ছাড়া মিতালিরা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন মাসও গড়ায়নি। অলিম্পিক ইস্যুতে আইসিসিকে যদি বিসিসিআই ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেয় তা হলে প্রচার পাবে মিতালি-ঝুলনদের মহিলা ক্রিকেটও। এই পরিস্থিতিতে দেখার, এত কম সময়ের মধ্যে কী সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।