বিরাট দিনে চরম অস্বস্তিতে ভারতীয় বোর্ড

বিরাট কোহালিদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের দিনে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এক নয়, বুধবার সারাদিন ধরে চলা বিভিন্ন ঘটনায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

সি শামসুদ্দিন। যাকে ঘিরে বিতর্ক।

বিরাট কোহালিদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের দিনে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এক নয়, বুধবার সারাদিন ধরে চলা বিভিন্ন ঘটনায়।

Advertisement

যেমন, ভারতের আম্পায়ার শামসুদ্দিনের বেঙ্গালুরুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে সরে দাঁড়ানো দুই, বোর্ড প্রশাসকদের বৈঠকের নথি শ্রীনিবাসনের ডেরায় ফাঁস হয়ে যাওয়া। তিন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইসিসি-তে তিনজনের বেশি পাঠানোর অনুমতিও পেল না বোর্ড। আর এই তিন জনের মধ্যে দু’জন আবার শ্রীনিবাসনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সব মিলিয়ে ক্রিকেটারদের দিনটা দুর্দান্ত কাটলেও কর্তাদেরটা ভাল গেল না।

হায়দরাবাদি আম্পায়ার সি শামসুদ্দিনকে নিয়ে নাগপুর ম্যাচের পর কড়া নালিশ করেছিল ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ম্যাচে অন্তত তিনটে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শামসুদ্দিন, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে এমনই দাবি করেন ইয়ন মর্গ্যানরা। ব্রিটিশ মিডিয়ার একাংশের দাবি, ইংল্যান্ড শিবির থেকে আসা এই নালিশের পরেই নাকি শামসুদ্দিনকে শেষ ম্যাচ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পাইক্রফট। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই নাকি রাজি হয়নি। ব্রিটিশ মিডিয়ার এই দাবি নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য সিইও রাহুল জোহরিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অনেকবারের চেষ্টাতেও তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

এ দিন ম্যাচের ঘণ্টা দেড়েক আগে শামসুদ্দিন নিজেকে সরিয়ে নেন। সরকারি ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তিনি সুস্থ বোধ করছিলেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হঠাৎ বিতর্কিত আম্পায়ারেরই কেন এই অবস্থা হবে। শামসুদ্দিন এর পর তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করেন।

শামসুদ্দিন বিতর্ক মিটতে না মিটকেই ফাঁস হয়ে যায় ই-মেল কাণ্ড। ডায়না এডুলজি, বিনোদ রাই ও বিক্রম লিমায়ে মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে যে প্রথম বৈঠক করেন, সেই বৈঠকের মিনিটস বোর্ড সিইও জোহরি দুই বোর্ডকর্তা অনিরুদ্ধ চৌধুরি ও অমিতাভ চৌধুরিকে ই-মেল করেন নিয়ম অনুযায়ী। এই ই-মেল আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয় তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার কোষাধ্যক্ষ নরসিংহনের ই-মেলে। অর্থাৎ নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের নাগালে চলে আসে প্রশাসকদের বৈঠকের অন্দরের খবর।

কেন এই ই-মেল ফরোয়ার্ড করা হয়েছিল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। অভিযোগ উঠেছে অমিতাভ ওই ই-মেল করেছেন টিএনসিএ-তে। দুই কর্তাই শ্রীনিবাসন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ক্রিকেট মহলের অনেকেরই সন্দেহ, শ্রীনিবাসন যে দেশের ক্রিকেট রাজনীতিতে এখনও যথেষ্ট রয়েছেন, এই ঘটনা তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ।

তবে কেন এই ই-মেল করা হয়েছিল টিএনসিএ-তে, তা পরে বোঝা যায়। যখন বিসিসিআই সুপ্রিম কোর্টে দাবি জানায়, শুধু বিক্রম লিমায়ে নয়, আইসিসি-তে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনীত করা উচিত বোর্ডের দুই সর্বোচ্চ পদাধিকারী অনিরুদ্ধ ও অমিতাভকেও। যে আবেদন মেনেও নেওয়া হয়। দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চলবে আইসিসি-র এই পাঁচ বৈঠকের সিরিজ। কে কোন বৈঠকে অংশ নেন, এখন সেটাই দেখার।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, অন্যান্যবারের মতো এ বার আর বিসিসিআই আইসিসি-র সভা থেকে তেমন বিশেষ কিছু আদায় করে আনতে পারবে না। সে রকম সরবও হতে পারবে না। তবে আইসিসি-র বৈঠকের খুঁটিনাটি যে শ্রীনিবাসন শিবিরে পৌঁছবে, সেই ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement