গুড় দিয়ে তৈরি করুন পরোটা এবং রুটি। ছবি: ফ্রিপিক।
সুকুমার রায় ‘আবোল তাবোল’-এর 'ভালরে ভাল' কবিতায় লিখেছিলেন, ‘‘কিন্তু সবার চাইতে ভাল পাউরুটি আর ঝোলা গুড়’’। শীতের দিন মানেই গুড়। টাটকা খেজুরের রস থেকে তৈরি নলেন গুড় হোক বা জ্বাল দিয়ে তৈরি পাটালি, তার স্বাদই আলাদা।
এমনিতে রুটি বা পাউরুটি নলেন গুড়ে ডুবিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। তবে চাইলে কিন্তু রুটি বা পরোটার মধ্যেই ভরে দিতে পারেন গুড়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজে সমৃদ্ধ গুড়।
গুড়োর পরোটা
উপকরণ
২ কাপ আটা
মিহি করে নেওয়া পাটালি ৪ টেবিল চামচ
আটা মাখার জন্য ঈষদুষ্ণ জল
৩ টেবিল চামচ ঘি বা সাদা তেল
স্বাদমতো নুন
পদ্ধতি
আটা ঘিয়ের ময়েন সহ ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মেখে নিন। তার পর সেটি লুচির মতো বেলে তার মধ্যে গুঁড়ো করা পাটালি ভরে দিন। মুখ বন্ধ করে পরোটার মতো হালকা হাতে বেলে নিন। এর পর চাটুতে ঘি দিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গুড়ের পরোটা। গরম অবস্থায় খেলে পরোটার সঙ্গে তরল গুড়ের স্বাদ দারুণ লাগবে।
পরোটায় কামড় বসালেই মিলবে গুড়ের স্বাদ। ছবি: সংগৃহীত।
চাইলে রুটির মতো বেলে তার মধ্যে গুড় দিয়ে তিন ভাঁজ করে তিনকোনা পরোটাও করতে পারেন।
গুড়ের রুটি
উপকরণ
২ কাপ আটা
মাঝারি মাপের পাটালি
স্বাদমতো নুন
২ টেবিল চামচ ঘি
পদ্ধতি: পাটালি গরম জলে ভিজিয়ে গুড়ের জল বানিয়ে নিন। আটা ঘিয়ে ময়েন দিয়ে স্বাদমতো নুন দিয়ে মেখে নিন। তবে সাধরণ জল নয়, আটা মাখার সময় দিতে হবে হালকা গরম গুড়ের জল। তার পর রুটির মতো বেলে সেঁকে নিলেই হবে। তবে গুড়ের রুটি বেলতে গেলে অসুবিধা হতে পারে। রুটির লেচি গোল করে তার উপর বাটার পেপার দিয়ে তার উপর বেলন দিয়ে বেললে রুটি বেলনে আটকে যাবে না।