চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল
Football

নেমারদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ইউরোপ সেরা সেই অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন

ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তুলল হান্স ফ্লিকের প্রশিক্ষণাধীন বায়ার্ন মিউনিখই। সাফল্যের হাসি রইল লেয়নডস্কির মুখেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

চ্যাম্পিয়ন: সাত বছর পরে ফের ত্রিমুকুট বায়ার্ন মিউনিখের। রবিবার লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে প্যারিস সাঁ জারমাঁকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে উল্লসিত ম্যানুয়েল ন্যয়ার, রবার্ট লেয়নডস্কিরা। ছবি: গেটি ইমেজেস।

পিএসজি ০ • বায়ার্ন ১

Advertisement

লিসবনে রবিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লড়াইটা মূলত ছিল ফুটবল বিশ্বের দুই নায়কের একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ায়।

প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র ব্রাজিলীয় তারকা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র বনাম বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফুটবলার রবার্ট লেয়নডস্কির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই দ্বৈরথে ১-০ জিতে ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তুলল হান্স ফ্লিকের প্রশিক্ষণাধীন বায়ার্ন মিউনিখই। সাফল্যের হাসি রইল লেয়নডস্কির মুখেই।

Advertisement

যদিও বায়ার্নের জয়ের গোলটি এসেছে কিংসলে কোমানের হেড থেকে। যিনি পিএসজি অ্যাকাডেমিরই ফসল। ৫৯ মিনিটে পিএসজির লেফ্ট ব্যাকের জায়গা থেকে ঠিকানা লেখা লম্বা বল ছ’গজ বক্সে কোমানের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণে অরক্ষিত থাকা কোমান অবলীলায় সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে তা জড়িয়ে দেন পিএসজি-র জালে। ফলে প্রথম বার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় অধরাই থেকে গেল নেমার-এমবাপেদের দল প্যারিস সাঁ জারমাঁর। খেলা শেষে নেমার মাঠ ছাড়লেন চোখের জল মুছতে মুছতে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও কাছাকাছি এসেও গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ ব্রাজিলীয় তারকা।

আরও পড়ুন: উঠে এল এক ঝাঁক নতুন মুখ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা পাঁচে নেই রোনাল্ডো-মেসি

আরও পড়ুন: ‘ধোনির সঙ্গে ঠিক করেনি বিসিসিআই’

হতাশ: গোল পেলেন না নেমার। জিতল না দলও। ছবি: এএফপি।

টানটান উত্তেজনার ফাইনালের প্রথম ৪৫ মিনিট নেমার বা লেয়নডস্কি গোলের সুযোগ পেলেও আসল কাজটি করতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। ম্যাচে শুরুর প্রথম ২০ মিনিট পিএসজি আক্রমণে ঝড় তুললেও বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার তৎপর থাকায় সমস্যায় পড়েনি দল। ১৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে গোল করার কাছাকাছি জায়গায় চলে এসেছিলেন। ১৮ মিনিটে নেমারের কোণাকুণি শট রুখে নিশ্চিত পতন বাঁচান ন্যয়ার। নেমারের শটের সময় গোলের কোণ ছোট করে দিয়েছিলেন বায়ার্ন গোলরক্ষক। ফলে নেমার বল মারেন ন্যয়ারের শরীরে। ফিরতি বলে নেমার আবার গোলের চেষ্টা করলে তাও আটকে দেন ন্যয়ার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement