ব্যাকরণ মানে না বলেই এই মহাকীর্তি: সৌরভ

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, কেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এত দ্রুত অবসর নিয়ে ফেললেন। আইপিএলে ‘বিগ ম্যাক’-এর প্রথম অধিনায়ক। কেকেআর ড্রেসিংরুমে নিউজিল্যান্ড তারকাকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এটাও মনে হচ্ছে যে, জীবনের শেষ টেস্টে ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড এ ভাবে ভেঙে দেওয়া কোনও কপিবুক ক্রিকেটারের পক্ষে সম্ভব হত না। ম্যাকালাম ব্যাকরণ মানেন না, তাই পেরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:২৩
Share:

কেকেআরে যখন একসঙ্গে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, কেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এত দ্রুত অবসর নিয়ে ফেললেন। আইপিএলে ‘বিগ ম্যাক’-এর প্রথম অধিনায়ক। কেকেআর ড্রেসিংরুমে নিউজিল্যান্ড তারকাকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এটাও মনে হচ্ছে যে, জীবনের শেষ টেস্টে ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড এ ভাবে ভেঙে দেওয়া কোনও কপিবুক ক্রিকেটারের পক্ষে সম্ভব হত না। ম্যাকালাম ব্যাকরণ মানেন না, তাই পেরেছেন।

Advertisement

‘‘মাইন্ডসেটটাই আলাদা হতে হয়। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করতে হলে প্রত্যেক বলে চালাতে হবে। অর্থোডক্স প্লেয়ারের পক্ষে যা সম্ভব নয়,’’ শনিবার বেশ রাতে সিএবি থেকে বেরনোর সময় বলছিলেন সৌরভ। আরও বললেন, ‘‘জানি না কেন ও ছেড়ে দিল। অনায়াসে খেলতে পারত। আসলে বিদেশিরা সারা জীবন খেলব ভেবে এগোয় না। মাইকেল ক্লার্ক যেমন।’’ ম্যাকালামকে অসাধারণদের সরণিতে নয়, ‘খুব ভাল’-দের পৃথিবীতে রাখবেন সৌরভ। ‘‘ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাকালাম অনেক উন্নতি করেছিল। ওকে গ্রেট ক্রিকেটার বলা না গেলেও খুব ভাল তো বলতেই হবে।’’ সৌরভের আজ মনে পড়ছে আইপিএল ওয়ানের প্রথম ম্যাচে ম্যাকালামের ১৫৮। ‘‘বলতে গেলে ও-ই আইপিএলটা শুরু করে দিয়েছিল। আইপিএলের খুব দরকার ছিল ও রকম একটা ইনিংস।’’

ম্যাকালামকে সৌরভ মনে রাখবেন, আইপিএল উদ্বোধনে ঝড়ের জন্য। মনে রাখবেন অনন্য প্রতিভা হিসেবে যে কিপিং ও ব্যাটিং দক্ষতা, দু’টোকে মিশিয়ে নিজেকে উচ্চমার্গীয় ক্রিকেটারে রূপান্তর করেছিল। কেকেআরে ম্যাকালামের এক সময়ের সতীর্থ লক্ষ্মীরতন শুক্ল আবার ‘বাজ’-কে মনে রাখবেন অন্য এক কারণে— জীবনের মন্ত্র দেওয়ার জন্য।

Advertisement

‘‘আইপিএলে প্রথম ম্যাচের পর গোটা আইপিএল ও সে ভাবে কিছু করেনি। কিন্তু নির্বিকার থাকত। জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত নির্লিপ্ত থাকো কী ভাবে,’’ বলছিলেন লক্ষ্মী। উত্তরে তাঁকে ম্যাকালাম বলেছিলেন যে, নিজের ভাল ও খারাপ থাকার সংজ্ঞাটা ক্রিকেটারই ঠিক করে। ভাল খেললে সে ভাবে দিন ভাল গেল। খারাপ খেললে, মেজাজ খারাপ। ‘‘ও বলেছিল, এটা না করতে। বলেছিল, বাড়িতে তোমার পরিবার তোমার জন্য অপেক্ষা করবে। তাদের সামনে মুষড়ে থেকো না। আজও কথাটা মেনে চলি,’’ বলে দিলেন লক্ষ্মী। ঠিক একই ভাবে যিনি মনে রাখতে চান দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএলে রাজস্থান ম্যাচে তাঁকে দেওয়া ব্রেন্ডন-মন্ত্র। খেলতে নামার আগে তাঁকে ম্যাকালাম বলেন, টুর্নামেন্টে আমরা আর নেই। ম্যাচটা বাংলার জন্য খেলো। ‘‘ওকে আমার রাজা ছাড়া কিছু মনে হয়নি। না হলে কেউ জীবনের শেষ টেস্টে রেকর্ড করতে পারে? কেউ পারে ক্রিকেট ছেড়ে দিচ্ছি জেনেও নিজেকে এতটা মোটিভেট করতে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement