বিদায় বেলায় এভাবেই কেঁদে ফেললেন বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টাইগার। ছবি: এএফপি।
আগে থেকেই জানা ছিল। জানতেন এ দিনই শেষ জার্মানির জার্সি গায়ে মাঠে নামা। তবুও যেন চোখের জল বাঁধ মানল না বাস্তিয়ান সোয়াইন স্টাইগারের। ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ৬৬ মিনিট খেলে যখন মাঠ ছাড়লেন তখন তাঁকে ঘিরে আবেগের আবহ গোটা স্টেডিয়ামে। কোচ থেকে সতীর্থরা একে একে জড়িয়ে ধরছিলেন বাস্তিয়ানকে। মাঠ থেকে সুর করে গান বাঁধছিলেন দর্শকরা। ‘বাস্তিয়ান বাস্তিয়ান’। তাঁদের দিকেও হাত দেখিয়ে এসে বসলেন রিজার্ভ বেঞ্চে।
তার আগেই অধিনায়কের ব্যান্ড খুলে দিয়েছেন সতীর্থকে। ২-০ গোলে জয় দেখলেন বেঞ্চে বসে। কিন্তু রাতটি ছিল সোয়াইনস্টাইগারের। ১২১তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে দেশের জার্সি খুলে রাখলেন এই তারকা।
সতীর্থরা এভাবেই বিদায় জানালেন বাস্তিয়ানকে। ছবি: এপি।
চোখের জলের বাঁধ ভেঙেছিল শুরুতেই। যখন তাঁর হাতে জার্মান ফুটবলের সভাপতি রেনার্দ গ্রিনদেল তাঁর হাতে তুলে দিল ফুলের স্তবক। ঘোষণা করা হল বিদায় বাস্তিয়ান। বাচ্চাদের মতো কেঁদে উঠলেন তিনি। স্ত্রী অ্যানা ইভানোভিচ আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন থাকবেন না স্বামীর অবসরের মাঠে। টেলিভিশনেই চোখ রাখবেন। গত অগস্টের শুরুতেই সোয়াইনস্টাইগার জানিয়ে দিয়েছিলেন এ বার সময় এসেছে অবসরের। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘সবাই বুঝতেই পারছেন এই বিদায় আমার ওপর কতটা প্রভাব ফেলেছে। আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি এতটা সুন্দর হবে আমার বিদায়।’’
বিদায় জার্মান ফুটবল। শেষ বারের মতো খেলে মাঠ ছাড়ছেন বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টাইগার। ছবি: রয়টার্স।
জার্মান ফুটবলে শেষ হল এক যুগের। বাস্তিয়ানের ১২ বছরের ফুটবল জীবনের শেষ ম্যাচে তাঁর হাতেই অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন কোচ জোয়াকিম লো। বাস্তিয়ান বলেন, ‘‘আমি এতটা আশা করিনি। সবাইকে ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য গর্বের।’’ দেশের হয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলে যাওয়ার স্বপ্নটা এখনও একই রকম।
আরও খবর
স্বামী সোয়াইনস্টাইগারের অবসরের ম্যাচে মাঠে যাবেন না স্ত্রী অ্যানা