—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেলডাঙার পরিস্থিতি শান্ত হতে জেলা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরল। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাত থেকে বেলডাঙা, শক্তিপুর ও রেজিনগর থানা এলাকা বাদে জেলার বাকি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার পরে বেলডাঙা, রেজিনগর ও শক্তিপুর থানা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে আজ রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বেলডাঙা, শক্তিপুর এবং রেজিনগর থানা এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রেখেছে প্রশাসন। এ সবের মধ্যে শনিবার বেলডাঙা স্বাভাবিক দিনের মতো সচল ছিল। এ দিন দোকান বাজার খোলা ছিল। বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাও ভাল পরিমাণ ছিল। রাস্তায় পুলিশি টহলদারি ছিল।
শনিবার দুপুরে বেলডাঙার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। তিনি বেলডাঙার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখেন। সেখানে মূলত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। অর্চনা এ দিন বলেন, ‘‘বেলডাঙা থেকে কিছু মহিলা তাঁদের সমস্যার কথা টেক্সট ম্যাসেজ করে আমাকে জানান। কিছু ছবিও আমি দেখেছি। আমাদের চেয়ারপার্সনকে বিষয়টা জানিয়েছি। তিনি আমাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলেছেন। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে এসেছি। যেটুকু দেখলাম তাতে এটা বড় ঘটনা বলে মনে হয়েছে। বাড়ি ভাঙা হয়েছে, জানলা, দরজা ভাঙা হয়েছে। মহিলারা ভয়ে রাস্তায় বেরতে পারছেন না। পুলিশ প্রশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছি।’’ যদিও জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, একটি ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ আইনি পদক্ষেপ করেছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। বেলডাঙায় শান্তি ফিরেছে। বেলডাঙা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে।
শনিবার সকালে বেলডাঙায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। রেজিনগর, শক্তিপুরেও এ দিন সকালে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। গোটা জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন আমজনতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় গত সাত দিন চরম সমস্যায় পড়েছিলাম।
অনেকে সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইন্টারনেট ফিরে এসেছে। সমাজ মাধ্যমে এমন কিছু লিখবেন না যাতে ফের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।’ মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখর মারুঠি বলেন, ‘‘ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’’