কোপা দেল রে জয়ের হ্যাটট্রিক বার্সেলোনার

বার্সাকে দ্বিতীয় বার ম্যাচে ফেরান নেমার দ্য সিলভা স্যান্টেস জুনিয়র ও পাকো আলকাজার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৪:৩৪
Share:

উৎসব: কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে কাপ নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে মেসি, নেমার ও সুয়ারেজ। ছবি: রয়টার্স

স্বপ্নপূরণ! আলাভেজ-কে উড়িয়ে দিয়ে ২৯তম কোপা দেল রে জয় বার্সেলোনার।

Advertisement

শনিবার রাতে মাদ্রিদের ভিসেন্তে কালদেরন স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই বিপর্যয় নেমে আসে বার্সা শিবিরে। ১১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যান হাভিয়ার মাসচেরানো। শেষ পর্যন্ত তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন ম্যানেজার লুইস এনরিকে। সেই পরিস্থিতি থেকে বার্সা ঘুরে দাঁড়ায় লিওনেল মেসি-র দুরন্ত গোলে। ৩০ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে বিশ্বমানের গোল করেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পর্শ করলেন তেলমো জারা-র টানা চারটি কোপা দেল রে ফাইনালে গোল করার রেকর্ডও। তিন মিনিটের মধ্যেই অবশ্য উচ্ছ্বাস বদলে ট্রফিহীন মরসুম শেষ করার আতঙ্ক ফেরে বার্সা শিবিরে। আলাভেজের থিও হার্নান্দেজ গোল করে সমতা ফেরান।

বার্সাকে দ্বিতীয় বার ম্যাচে ফেরান নেমার দ্য সিলভা স্যান্টেস জুনিয়র ও পাকো আলকাজার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেন তাঁরা। এই নিয়ে তিনটি কোপা দেল রে ফাইনালে গোল করলেন নেমার। স্পর্শ করলেন কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসের টানা তিনটি কোপা দেল রে ফাইনালে গোল করার নজিরকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রফি দিয়েই বিদায় নিলেন এনরিকে

লা লিগায় রানার্স। কোয়ার্টার ফাইনালে য়ুভেন্তাসের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে কোপা দেল রে ফাইনালই ছিল এই মরসুমে বার্সার সামনে ট্রফি জয়ের শেষ সুযোগ। ম্যাচের পরে আন্দ্রে ইনিয়েস্তা বলছেন, ‘‘ফাইনাল সব সময়ই কঠিন। এই ধরনের ম্যাচে কেউ ফেভারিট নয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ট্রফি জিতে মরসুম শেষ করার। সেটা আমরা করতে পেরেছি।’’

দুরন্ত জয়ের পরেও ভিসেন্তে কালদেরন স্টেডিয়ামে আশ্চর্য রকম উচ্ছ্বাসহীন ছিলেন মেসি! আলাভেজ-কে হারিয়ে মাঠের মধ্যে তখন উৎসব শুরু করে দিয়েছেন নেমার-রা। জেরার পিকে-কে দেখা গেল ট্রফি জয়ের স্মারক হিসেবে গোল পোস্টের নেটের খানিকটা অংশ কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়ে গলায় পরেছেন। নির্বাসিত থাকায় ফাইনাল খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় হতাশা ভুলে মাঠে নেমে পড়েছিলেন উরুগুয়ে তারকা। দুই ছেলে থিয়াগো ও মাতেও-কে নিয়ে হাজির মেসি-র বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো-ও। ট্রফি নিয়ে ছেলে লুক্কা-র সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত নেমার।

কিন্তু মেসি কোথায় গেলেন?

ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসচেরানো আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার হতাশায় উৎসব থেকে প্রথমে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মেসি। মাঠের মধ্যে ট্রফি দেওয়ার জন্য যে অস্থায়ী মঞ্চ বানানো হয়েছিল, তার সিড়িতেই ছ’সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়া মাসচেরানো-র পাশে বসেছিলেন আর্জেন্তিনা অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নেমার, সুয়ারেজ-রা জোর করে তাঁকে টেনে নিয়ে গেলেন। আলকাজার বলছিলেন, ‘‘আমি গর্বিত মেসির মতো কিংবন্তির পাশে খেলার সুযোগ পেয়ে। ওর জন্য খেলাটা অনেক সহজ হয়ে যায় আমাদের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement