লা লিগার ফাইনাল রাউন্ডের আগে কোথাও পৌষ মাস, কোথাও সর্বনাশ। রিয়াল মাদ্রিদ যখন বিশ্বের ধনীতম ক্লাব হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিল, তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা আবার স্পনসর হারানোর মুখে।
লা লিগা খেতাব বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হয়তো তারা টানা জিততে পারে না। কিন্তু গত তিন বছরের মতো ফের বিশ্বের ধনীতম ক্লাবের সিংহাসনে বসল রিয়াল। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিচারে রিয়ালই বিশ্বের সবথেকে দামি ক্লাব। যাদের বার্ষিক আয় ২.২৫ বিলিয়ন ইউরো। বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আবার এখন থেকেই ফুটবলারদের স্বপ্নের দুটো ট্রফি জেতার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। যা শেষবার ১৯৫৮-তে পেয়েছিল রিয়াল। অর্থাৎ একই মরসুমে ইউরোপিয়ান কাপ ও লা লিগা। স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পেপে, সের্জিও র্যামোসের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পেরেজ। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফুটবলাররা কত টাকা বোনাস পাবে সেই বিষয় আলোচনা হয়। এ ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ফুটবলারদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তারা স্টেডিয়াম ভরানোর জন্য নিজেদের বন্ধু বা আত্মীয়দের টিকিট বিক্রি করেন।
কিন্তু রিয়ালে যখন বোনাস পাওয়ার অপেক্ষায় ফুটবলাররা, বার্সা আবার স্পনসর-আশঙ্কায়। শোনা যাচ্ছে, বার্সার প্রধান স্পনসর নাকি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চায় না। কারণ, বার্সা নাকি চার বছরে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ পাউন্ড চায় তাদের স্পনসরের থেকে। তাতেই যাবতীয় সমস্যার সৃষ্টি। এ মরসুমেই বার্সার সঙ্গে বর্তমান চুক্তি শেষ হচ্ছে তাদের স্পনসরের। তবে নতুন স্পনসরের সঙ্গে কথা বলার আগে ক্লাব কর্তারা এখনও চেষ্টা চালাচ্ছেন যদি কোনও সমাধানে পৌছনো যায়। ‘‘আমরা এখনও কথাবার্তা চালাচ্ছি স্পনসরের সঙ্গে। দেখা যাক কী হয়,’’ বলছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তেমিউ।
যদিও এখন স্পনসর ঝামেলা মেটানোর থেকেও বার্সা কর্তারা বেশি চিন্তিত কোনও বড় ট্রফি ক্যাবিনেটে উঠবে কি না, তা নিয়ে। শনিবার গ্রানাদার বিরুদ্ধে শেষ লা লিগা ম্যাচ খেলতে নামবে বার্সা। যে ম্যাচে মেসিরা তিন পয়েন্ট না পেলে রিয়ালের সুযোগ থাকছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।