হতাশ: বিলবাও-এর কাছে হেরে যাওয়ার পর দে জং।—ছবি এএফপি।
বিলবাও ১ • বার্সেলোনা ০
রিয়েল মাদ্রিদ ৩ • সোসিদাদ ৪
ইন্দ্রপতন! একই রাতে কোপা দেল রে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সা ০-১ হারল অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ হারাল রিয়াল সোসিদাদ। বিস্ময়কর লিয়োনেল মেসিদের হার। কারণ বিলবাও জয়ের গোল পেয়েছে সের্খিয়ো বুস্কেৎসের আত্মঘাতী গোলে। তাও সেই গোল হয় সংযুক্ত সময়ের তিন মিনিটে।
বার্সায় এরিক আবিদাল ও মেসির দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত উত্তেজনা ছিলই। তার উপরে কোপা দেল রে থেকে ছিটকে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হল। বার্সার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি আবিদাল সম্প্রতি ফুটবলারদের ‘ঢিলেমির’ সমালোচনা করেন। এ-ও জানান, তাঁদের জন্যই আর্নেস্তো ভালভার্দের ম্যানেজারের চাকরিটা গিয়েছে। মেসি যার প্রতিবাদ করে আবিদালের কাছে দাবি করেন, দোষী যাঁরা তাঁদের নাম বলার জন্য।
নতুন ম্যানেজার কিকে সেতিয়েনের জমানায় ছ’টা ম্যাচের দু’টিতে হেরে গেল ক্যাটালুনিয়ার সেরা ক্লাব। সেতিয়েন অবশ্য বললেন, ‘‘এক-একদিন এ রকম হতেই পারে। দশটা সুযোগ পেয়েও গোল হল না। আর ওরা একটা সুযোগেই গোল পেয়ে গেল।’’ সেতিয়েনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তোমিউ-ও। সমর্থকদের আশ্বস্ত করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদেরই সেমিফাইনালে ওঠার কথা। ফুটবলারদের লড়াকু মনোভাবে আমি মুগ্ধ। এখনও লা লিগা আছে। রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এই দুই জায়গায় আমরা সফল হতেই পারি।’’
মেসি দলকে জেতাতে পারেননি। উসমান দেম্বেলের কার্যত পুরো মরসুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। তার উপরে জেরার পিকের বুধবার চোট পেলেন। টালমাটাল অবস্থা বার্সায়। লা লিগা টেবলে দু’নম্বের নেমে যাওয়া অবস্থায় তাদের রবিবার খেলতে হবে রিয়াল বেতিসের বিরুদ্ধে। এমন একটা অবস্থায় সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করতে পিকে বলেছেন, ‘‘দয়া করে পরস্পরকে দোষী বলার অভ্যেসটা ত্যাগ করো। এ সব করলে সাফল্য আসবে না। আসবে কঠোর পরিশ্রমে।’’ এরই মধ্যে মেসির বার্সা ছেড়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যাওয়ার জল্পনা নতুন করে ভেসে উঠল। ম্যান সিটির ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা অবশ্য বলে দিলেন, বার্সাই মেসির সব। তিনি চান স্পেনের ক্লাবে খেলেই অবসর নিন আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই হল রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচে। সোসিদাদ ৫৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ এগিয়ে গেলে ৫৯ মিনিটে ১-২ করেন মার্সেলো ভিয়েরা। সোসিদাদের আলেকজান্ডার ইসাক জোড়া গোল করেন। ৬৯ মিনিটে মিকেল মোরিনোর গোলে ৪-১ হয়। সেখান থেকে রিয়াল আরও দু’টি গোল করে (রদ্রিগো, নাচো)। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রবল সমালোচনা হল জ়িদানের দল নির্বাচনের। রিয়াল ম্যানেজার নিজেও হতাশ, ‘‘হারতে কারও ভাল লাগে না। আমারও লাগেনি। দলের অন্যদেরও নয়।’’