সামনে এশিয়া কাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ অপেক্ষা করছে বলে জিম্বাবোয়েকে পেয়ে টি-২০-র ফর্ম্যাটে পরীক্ষা নীরিক্ষা করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তা যে এই পর্যায়ে হতে পারে, তা বোধহয় আশা করেননি কেউই।
টি-২০-এর আদর্শ কম্বিনেশনের খোঁজে থাকা হাতুরাসিংহে-মাশরফির কোচ-ক্যাপ্টেন জুটি ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ মুশফিকুরের চাপ কিছুটা কমাতে তাঁকে রেহাই দিলেন উইকেটরক্ষকের বাড়তি দায়িত্ব থেকে। দলে এলেন নুরুল হাসান সোহান। খুলনার বছর বাইশের এই ছেলেটি কিন্তু প্রথম ম্যাচেই বেশ দাগ কাটল। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মাসাকাদজাকে রান আউট করে দলকে ম্যাচে ফেরান নুরুল। মাসাকাদজা আউট হওয়ার পর শেষ ১৪ বলে মাত্র ১৩ রান যোগ করে জিম্বাবোয়ে। সোহানকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মাশরফি ম্যাচের শেষে বলেন, “অসাধারণ কিপিং করেছে সোহান। অভিষেক ম্যাচেই যে টেম্পারামেন্ট দেখিয়েছে তাতে আমরা খুশি। আরও খুশি মুশফিকুরের কাঁধ থেকে কিছুটা বোঝা কমাতে পেরে। ওঁর প্রতি গোটা দল কৃতজ্ঞ।”
আরও খবর:
জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে দুরন্ত জয় বাংলাদেশের
কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে অনেক বাকি ছিল তা দেখা গেল বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামার পর। ১৬৩ রান তাড়া করাটা বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের কাছে একেবারেই সমস্যা হবে না বুঝেই বোধহয় ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কিছুটা রদবদল করে ম্যানেজমেন্ট। চার নম্বরে নামানো হয় শুভাগত হোমকে। ছ’নম্বরে নামেন সাকিব। শুভাগতকে যে চার নম্বরে নামানো ভুল হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন মাশরফিও। তাঁর মতে, “বোলিং অলারাউন্ডার হিসাবে ওঁকে নেওয়া হলেও ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে বোলিং করাতে পারিনি। তাই হয়ত শুভাগতকে চারে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছি। তবে এই সিদ্ধান্ত ভুল হয়ে গেছে।” তবে সাকিবকে ছ’য়ে নামানো দলের স্ট্র্যাটেজি বলেই জানিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে তাঁর ১৩ বলে ২০ রানের ইনিংসই ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশকে।
সব মিলিয়ে দলের খেলায় বেশ খুশি মাশরফি। পরীক্ষা মোটামুটি সফল হওয়ায় খুশি হাতুরাসিংহেও। বিশ্বকাপের আগে দল আরও ভাল করবে বলে আশাবাদী তিনি।