ফের বিতর্কে শাকিব। স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সেই মুহূর্ত। ছবি - টুইটার
ফের বিতর্কে শাকিব আল হাসান। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে ম্যাচ চলার সময় মাথা গরম করে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন শাকিব। এমনকি বিপক্ষের মুখ্য প্রশিক্ষক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম পরিচালক খালেদ মামুদ সুজনের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে নেট মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেন শাকিব। যদিও অনেকে মনে করছেন শাস্তি পেতে পারেন তিনি।
ঘটনাটি তাঁর দলের বোলিংয়ের পঞ্চম ওভারে ঘটেছিল। শেষ বলটা দারুণ ভাবে ভেতরে নিয়ে আসেন সাকিব। ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম পরাস্ত হন। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করলেও নাকচ করে দেন আম্পায়ার। এরপর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষেপে গিয়ে লাথি মেরেই স্টাম্প ভেঙে ফেলেন এই অলরাউন্ডার! পরের ওভার শেষে ফের তাঁর সঙ্গে ফের আম্পায়ারের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় ফের স্টাম্প তুলে পিচের উপর আছাড় মারেন তিনি!
আর এই ঘটনায় শাকিবের সঙ্গে সুজনেরও ঝামেলা লেগে যায়। বৃষ্টির জন্য খেলা সাময়িক বন্ধ হওয়ার জন্য সাজঘরে ফিরছিল শাকিবের দল। সেই সময় শাকিবকে গালাগালি করেন আবাহনীর কয়েক জন সমর্থক। শাকিবও তাঁদের পাল্টা জবাব দেন। শাকিবের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি সুজন। তাঁর সঙ্গে শাকিবের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। যদিও দুজনকে তাঁদের দলের অন্যরা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝামেলা বড় আকার নেয়নি।
বিসিবি-র অন্যতম পরিচালক সুজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন শাকিব। ছবি - টুইটার।
পরে অবশ্য ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে নেন শাকিব।
পরে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে নেন শাকিব। তিনি লেখেন, ‘যাঁরা ঘরে বসে খেলা দেখছিলেন তাঁদের কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আচরণ করা কখনই উচিত নয়। আমি আমার দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়ালস এবং সাংগঠনিক কমিটির কাছে এই মানবিক ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করিছি, ভবিষ্যতে কখনই আর এমন কাজ করব না। সবাইকে ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা।’ সাকিবের এমন আচরণে মাঠের উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যান।
তবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও নির্বাসনের মুখে পড়তে পারেন সাকিব। অনেকেই মনে করছে তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য তিনি বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। সামনে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে হোম সিরিজ। এরপর আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।