অশ্বিনী পোনাপ্পা। —ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্স শেষ হতেই শুরু হয়ে গেল অভিযোগের পালা।
ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার অশ্বিনী পোনাপ্পা অভিযোগ করলেন, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছ থেকে তিনি কোনও সহায়তাই পাননি। শুধু তাই নয়, পোনাপ্পা এও জানান, নিজের পছন্দের কোচকেও তাঁর সঙ্গে প্যারিসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্যারিস অলিম্পিক্সে ডাবলসে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শূন্য হাতেই ফিরেছেন বাকি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মতো।
সাইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, অলিম্পিক্সের জন্য কোন খেলোয়াড়ের পিছনে কত অর্থ খরচ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম (টপস)-এর আওতায় থাকা পোনাপ্পার জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করা হয়েছিল। এ ছাড়া অ্যানুয়াল ক্যালেন্ডার ফর ট্রেনিং অ্যান্ড কম্পিটিশন (এসিটিসি)-র আওতায় পোনাপ্পার জন্য খরচ হয় আরও প্রায় দেড় কোটি। এই হিসাব উড়িয়ে দিয়েছেন পোনাপ্পা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা শোনার পরে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করা হয়নি বলে কোনও অভিযোগ নেই। সেখানে আমার কিছু বলারও নেই। কিন্তু টাকা দেওয়া হয়েছে, তা মানতে পারছি না।’’ তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আমার জন্য আলাদা করে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। যদি জাতীয় শিবিরের দেড় কোটি টাকার কথা বলা হয়, তা হলে বলব, সেটা শিবিরে থাকা সব অ্যাথলিটের জন্যই খরচ করা হয়েছিল।’’
ক্রীড়ামন্ত্রকের দিকে আঙুল তুলে পোনাপ্পা আরও বলেছেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত কোনও কোচ নেই। যে ট্রেনার আছে, তার খরচ আমিই বহন করি। কারও থেকে অর্থ সাহায্য নিইনি। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নিজের খরচে খেলে গিয়েছি। অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে টপস-এর আওতায় আনা হয়।’’
৩৪ বছর বয়সি পোনাপ্পা ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ব্যাডমিন্টনে যথাক্রমে সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। জ্বালা গাট্টার সঙ্গে লন্ডন এবং রিয়ো অলিম্পিক্সে ডাবলসে অংশ নিয়েছিলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে তাঁর সঙ্গী ছিলেন তানিশা ক্র্যাস্টো। কিন্তু কোনও ম্যাচ না জিতেই বিদায় নিতে হয় পোনাপ্পাদের।
সাইয়ের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, ‘‘যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, প্রতিযোগিতার প্রবেশমূল্য, দৈনিক হাত খরচ মিলিয়ে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’’