মোহনবাগান ২: ইস্টবেঙ্গল ১

বাগানে ফুল ফুটিয়ে ডার্বিতে উদয় ফুটবলের আজ্জুর

পাহাড়ের কোলে কাঞ্জনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের আকাশে প্রথম বার সবুজ-মেরুন আবির উড়তে দেখা গেল রবিবার রাতে। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় ‘হোম’-এ এসে মোহনবাগান কখনও জেতে না, এই ধারণা ভেঙে আই লিগের জয়যাত্রায় এগোল বাগান।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৪২
Share:

নায়ক: গোলের পরে আজহারকে অভিনন্দন সনির। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

পাহাড়ের কোলে কাঞ্জনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের আকাশে প্রথম বার সবুজ-মেরুন আবির উড়তে দেখা গেল রবিবার রাতে। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় ‘হোম’-এ এসে মোহনবাগান কখনও জেতে না, এই ধারণা ভেঙে আই লিগের জয়যাত্রায় এগোল বাগান।

Advertisement

একই দিনে ঘটল আরও দু’টো বড় ঘটনা। তিন বছর ভারতে খেলে অনেক গোল করলেও বাঙালি দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার ম্যাচে সনি নর্দের কোনও গোল ছিল না এত দিন। তিনি সেটা পেলেন। এটা ছিল হাইতির স্ট্রাইকারের পাঁচ নম্বর ডার্বি।

সনির আক্ষেপ তো মিটলই, পাশাপাশি বহু দিন পর বড় ম্যাচে গোল পেলেন এক বঙ্গসন্তান। ডানকুনির মশাটের কুড়ি ছুঁইছুঁই আজহারউদ্দিন মল্লিক দেখালেন বিদেশি স্ট্রাইকারদের রমরমার বাজারে এখনও বাঙালির পা থেকে গোল আসে। সনির সোয়ার্ভিং ফ্রি-কিকে অসাধারণ গোলের আট মিনিট পর আজহারের পা থেকে এল বুদ্ধিদীপ্ত গোলটা। ম্যাচটা মোহনবাগান জিতল ২-১। আর সনি ম্যাচের পর বলে গেলেন, ‘‘ডার্বিতে গোল পাচ্ছিলাম না বলে একটা আক্ষেপ তো ছিলই। সেই স্বপ্নটা এখানে এসে পূরণ হওয়ায় আমি যতটা খুশি, তার চেয়েও বেশি আনন্দিত টিম জেতায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন...
বাঙালি তারার উত্থানই সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকল

সনির মুখ থেকে বেরোল আজহারের ভূয়সী প্রশংসাও। হাইতির তারকা বলে গেলেন, ‘‘গত দেড় বছর টিম হোটেলে ও আমার টিম মেট। ও জন্মগত প্রতিভা। এ রকম মঞ্চে এসে গোল পাওয়ায় দারুণ লাগছে। আমার মনে হয়, আগামী দু’তিন বছর ও টিমের সেরা ফুটবলার হয়ে উঠবে।’’ তিন বছর মোহনবাগানে খেলছেন আজহার। সনির পাশ দিয়ে দ্রুত টিম বাসে ওঠার মুখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাবাকে উৎসর্গ করছি গোলটা। সনির সঙ্গে এক ঘরে থাকাটা আমার জীবনে একটা বড় প্রাপ্তি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement