অস্ট্রেলীয় ওপেনেও বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হল আরও বড় সংশয়। ফাইল চিত্র।
ঘনিষ্ঠমহলে আগেই নোভাক জোকোভিচ জানিয়েছিলেন, নতুন বছরে সিডনিতে শুরু হতে যাওয়া এটিপি কাপে অংশ নেবেন না। বুধবার সরকারি ভাবে সেই খবর জানালেন আয়োজকেরা। যার ফলে অস্ট্রেলীয় ওপেনেও বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হল আরও বড় সংশয়।
এক ই-মেল বিবৃতিতে বুধবার অস্ট্রেলিয়া টেনিস সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘সিডনিতে হতে যাওয়া এটিপি কাপ থেকে নোভাক জোকোভিচ সরে দাঁড়িয়েছেন। পরে অস্ট্রেলীয় ওপেনে তিনি খেলবেন কি না, সে সম্পর্কে আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও তথ্য নেই।’’ বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘খেলোয়াড়দের করোনা প্রতিষেধক টিকা নেওয়া নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় থাকছে টেনিস অস্ট্রেলিয়া। খেলোয়াড়দের মেডিক্যাল রিপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গোপন রাখা হবে।’’
ইতিমধ্যে অস্ট্রেলীয় ওপেনে অংশ নিতে মেলবোর্নে পৌঁছে গিয়েছেন জাপানের মহিলা টেনিস তারকা নেয়োমি ওসাকা। গত বছর তিনি এই প্রতিযোগিতায় মহিলা সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
এ দিকে, টেনিস-বিশ্বের তিন মহাতারকা নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেডেরার এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে অংশ না নেওয়ায় প্রতিযোগিতার ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে। যা টেনসপ্রেমীদের বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সম্পর্কে উদাসীন করে তুলতে পারে। এমনটাই মনে করছেন নিক কিরিয়স।
অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে বুধবার এই প্রসঙ্গে কিরিয়স বলেছেন, ‘‘তিন মহাতারকার অনুপস্থিতি কিন্তু এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনের কাছে এক বিরাট বিপর্যয়। বিশেষ করে, যাঁরা নোভাক, নাদাল এবং ফেডেরারের খেলা দেখবে বলে অধীর আগ্রহে এত দিন অপেক্ষা করেছেন, তাঁদের কাছে এটা এক বড় ধাক্কা। আমি মনে করি, বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিসের ঔজ্জ্বল্যও ফিকে হয়ে যাবে ওদের না থাকার কারণে।’’
যদিও কিরিয়স মনে করেন, টেনিস-বিশ্বের তিন মহাতারকা না থাকায় অনেক নতুন তারকা উঠে আসতে পারেন এ বার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ইতিমধ্যে অনেক তরুণ তারকার উদয় হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আমি মনে করি, তাঁদের সামনে এ বার বড় সুযোগ রয়েছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, টেনিসের স্বার্থেই যে কোনও মঞ্চে ফেডেরার, জোকোভিচ এবং নাদালের উপস্থিত থাকা দরকার। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ওরা যে খেলবে না, সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রকট হয়ে পড়ছে। এটা কারও পক্ষেই শুভ নয়।’’