যুযুধান: ছন্দে বার্টি (উপরে)। পরীক্ষা কলিন্সের। ফাইল চিত্র
প্রথম জনের দখলে দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। প্রতিপক্ষের ঝুলি এখনও শূন্য। এটিপি খেতাবের হিসাবে প্রথম পক্ষের নামের পাশে লেখা ১৪, দ্বিতীয় জনের মাত্র ২! বিগত মুখোমুখি সাক্ষাতের ফল ৩-১। অবশ্যই প্রথম জনের পক্ষে।
আজ, শনিবার বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলীয় ওপেনের মহিলা সিঙ্গলস ফাইনালের আগে এটাই একঝলকে বিশ্বের এক নম্বর তারকা অ্যাশলে বার্টি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৭ নম্বরে থাকা ড্যানিয়েলা কলিন্সের পরিসংখ্যান। বরিস বেকারের মতো কিংবদন্তিও বলে ফেলছেন, “সমস্ত ধরনের অঘটনের সম্ভাবনা মাথায় রেখেও বলতে হচ্ছে, বার্টির হাত থেকে এই ট্রফি ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।”
কিন্তু তার পরেও ঘরের মেয়েকে নিয়ে চাপা অস্বস্তি রয়ে গিয়েছে টেনিসভক্তদের মনে। শেষ অস্ট্রেলীয় হিসেবে ১৯৭৮ সালে মহিলা সিঙ্গলস খেতাব জিতেছিলেন ক্রিস্টিন ও’নীল। তার পরে পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ ৪৪ বছর। মেলবোর্ন পার্কে আবারও কি প্রত্যাবর্তন ঘটবে সেই সোনালি স্মৃতির? প্রিয় কোর্টে বার্টি এখনও পর্যন্ত হেরেছেন মাত্র ২১টি গেম এবং টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত। সেই পরিসংখ্যান কি তাঁকে বাড়তি উজ্জীবিত করছে? শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বার্টি বলেছেন, “যে কোনও খেলার প্রতি অস্ট্রেলীয়দের আগ্রহটা খুব বেশি। তাঁরা খেলাটাকে ভালবাসেন। এটাকে এক ধরনের আসক্তি বলা যায়।” যোগ করেছেন, “আমিও চাই প্রিয় মেলবোর্ন পার্কে ট্রফি জিততে। যদিও এ-ও জানি, ফাইনালে নতুন একটা পরীক্ষা দিতে হবে আমাকে। তবে আমি সেই ঝলমলে পরিবেশকে উপভোগ করতে চাই প্রত্যেক মুহূর্তে। নিজের সেরা টেনিস উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। তার পরে যা হওয়ার, তা-ই হবে।”
প্রতিপক্ষ কলিন্সের লড়াইয়ের ছবিটা আবার অন্য ধরনের। গত এপ্রিলে চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিতে হয়েছিল। তাতেও কাটেনি সঙ্কট। ফরাসি ওপেনে ফের চোট পান পেটের পেশিতে। ২৮ বছরের মার্কিন তারকা বলেছেন, “জানি গ্যালারির দর্শকেরা গলা ফাটাবেন অ্যাশের জন্য। তবে সেটাই আমাকে ভাল খেলার শক্তি জোগাবে।” যোগ করেছেন, “বার্টির বিরুদ্ধে আগেও খেলেছি। ওর টেনিসের বৈচিত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই সতর্ক থাকব।”