অ্যাডিলেডে জয়ের মুহূর্তে উচ্ছ্বাস অজি ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে জয় এসেছিল ইনিংস ও ৫ রানে। সোমবার অ্যাডিলেডে জয় এল ইনিংস ও ৪৮ রানে। দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে কার্যত চুরমার করল অস্ট্রেলিয়া। ট্রিপল সেঞ্চুরি করে টেস্টের সেরা হলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
ফলো অনের পর সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে শুরু করেছিল পাকিস্তান। ইনিংসে দাঁড়ি পড়ল ২৩৯ রানে। পাঁচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অফস্পিনার নেথান লিয়ন (৫-৬৯)। জোশ হ্যাজেলউড ৬৩ রানে নিলেন তিন উইকেট। মিচেল স্টার্ক নিলেন এক উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তিন উইকেটে ৫৮৯ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল। ওয়ার্নার অপরাজিত ছিলেন ৩৩৫ রানে। লাবুশানে করেছিলেন ১৬২। জবাবে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩০২ রানে। ইয়াসির খান (১১৩), বাবর আজম (৯৭) রান পেলেও বাকিরা হতাশ করেন। ছয় উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। তিন উইকেট নিয়েছিলেন প্যাট কামিংস।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের সভায় কেন আমন্ত্রিত থাকলেন দ্রাবিড়?
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার, তা সত্ত্বেও এঁকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি মজা করা হয়!
ফলো অনের পর ব্যাট করতে নেমে ৮২ ওভারে ২৩৯ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। শান মাসুদ (৬৮), আসাদ শফিক (৫৭), মহম্মদ রিজওয়ান (৪৫) ছাড়া কেউ রান পাননি। সোমবার পাকিস্তানের সাতটির মধ্যে পাঁচটি উইকেটই নেন লিয়ন। পাকিস্তানের শেষ উইকেট পড়ে প্যাট কামিংসের সরাসরি থ্রোয়ে মহম্মদ আব্বাসের রান আউটের মাধ্যমে। তার পরই অ্যাডিলেডে উৎসবে মেতে ওঠে টিম পেনের দল।
পাকিস্তান এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১৪ টেস্ট হারল। এর আগে ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৬ সালে তিন টেস্টেই হেরেছিল পাকিস্তান। এ বার হারল দুই টেস্টেই। অস্ট্রেলিয়ায় টানা এতগুলো টেস্টে এর আগে কোনও দল হারেনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারত টানা ৯ টেস্টে হেরেছিল। ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজও টানা নয় টেস্টে হেরেছিল।