প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া এবং বেলারুশকে নিয়ে দুই মেরুতে টেনিসের দুই সংগঠন। জোর ঝামেলা লেগে গেল উইম্বলডন এবং এটিপি-র মধ্যে।
উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, জানাল পেশাদার টেনিসের নিয়ামক সংস্থা এটিপি। তাদের মতে এই সিদ্ধান্ত টেনিসের ভবিষ্যতের জন্যও বিপজ্জনক।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে রাশিয়ার খেলোয়াড়দের বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উইম্বলডনের আয়োজকরা। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সক্রিয় সমর্থক হওয়ায় বেলারুশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেও একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এটিপি উইম্বলডন আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তকেই ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছে। পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়দের সংগঠনের বক্তব্য একতরফা এই সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক উদাহরণ তৈরি করবে।
এটিপি জানিয়েছে, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি এ বছরের ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম থেকে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের বের করে দেওয়া নিয়ে উইম্বলডনের এই একতরফা সিদ্ধান্ত অন্যায়। এটা খেলাটার ক্ষতি করবে। নাগরিকত্বের নিরিখে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভেদ করা উইম্বলডনের সঙ্গে আমাদের চুক্তির পরিপন্থী। শুধুমাত্র এটিপি ক্রমতালিকার ভিত্তিতেই খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ বিবেচনা করা উচিত। উইম্বলডনের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড এবং কাউন্সিল সদস্যদের বৈঠকে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব।’’
পুরুষ খেলোয়াড়দের সংগঠন এটিপি এবং মহিলা খেলোয়াড়দের সংগঠন ডব্লুটিএ দলগত প্রতিযোগিতা থেকে রাশিয়া এবং বেলারুশকে নির্বাসিত করলেও খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। দেশের পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা।
এটিপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অনৈতিক সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করছি আমরাও। এই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নিরাপরাধ মানুষদের পাশে রয়েছি আমরা। কিন্তু খেলাটা স্বচ্ছতা এবং নির্দিষ্ট মাপকাঠি মেনে চালিয়ে যেতে পারার জন্য আমরা গর্বিত। মনে রাখা দরকার খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত ভাবে খেলেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেন।’’ উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম উইম্বলডন আয়োজকরা কোনও দেশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।