প্রস্তুত: বাছাইয়ের পর জার্সি পেয়ে খুশি কচিকাঁচারা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিভাবান খুদে ফুটবলারের খোঁজে জেলায় এলো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দল এটিকে। তৃণমূল স্তর থেকে ভাল ফুটবলার তৈরির লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ফুটবলারদের বাছাই করছে এটিকে। নিজেদের অ্যাকাডেমিতে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আগামী দিনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। রবিবার দিঘা ঐক্যতান ক্লাবের সহযোগিতায় বিধানচন্দ্র মাঠে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলপড়ুয়া ফুটবলারদের পারফর্ম্যান্স দেখলেন এটিকে-র ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। এঁদের মধ্য থেকে কয়েক জনকে বাছাই করা হবে। তাঁরা কলকাতায় চূড়ান্ত বাছাই শিবিরে যোগ দেবে।
এ দিনের শিবিরে মোট ৩১০ জন যোগ দেয়। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লক এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বিভিন্ন স্কুল ও ফুটবল ক্লাবের ছেলেরা যোগ দিয়েছিল। অনূর্ধ্ব-৯ ও ১০, অনূর্ধ্ব-১১ ও ১২ এবং অনূর্ধ্ব-১৩ ও ১৪ বিভাগে যোগ দিয়েছিল তারা। প্রথমে ছেলেদের ওজন, উচ্চতা ও বয়সের প্রমাণপত্র দেখা হয়। তার পরে ছেলেদের বল ধরা, শট মারা এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে লক্ষ্যে বল মারার দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। আট জন করে দল বানিয়ে তাদের খেলা দেখা হয়। বিশেষ ভাবে দেখে নেওয়া হয় তাদের পাসিং, ড্রিবলিং ও থ্রোয়িংয়ের ক্ষমতা। তিন জন কোচ বিভিন্ন বিভাগে খেলা দেখেন। খেলা শেষে প্রত্যেক ফুটবলারকে একটি করে এটিকে-র জার্সি দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক রজত বেরা বলেন, “এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। আমাদের জেলার ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ স্কুলেরপড়ুয়াই শিবিরে যোগ দেয়।” ঐক্যতান ক্লাবের সভাপতি দেবব্রত দাস বলেন, “জেলায় এই ধরনের একটি শিবির করার জন্য এটিকে-কে ধন্যবাদ। এই অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ খুবই সম্মানের।”
ফুটবল খেলাকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আইএসএল-এর সব দলকে ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটিকে এক কর্তার কথায়, “২০১৫ সাল থেকে কলকাতার নিউ টাউন ও বারাসতের অনূর্ধ্ব-১৩ ও ১৪ স্তরে খেলার জন্য ২৫ জন করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এ বার অনূর্ধ্ব ১১-১২ ও অনূর্ধ্ব ৯-১০ স্তরের জন্য অ্যাকাডেমি শুরু হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০ জন প্রতিভাবান ফুটবলার এখানে সুযোগ পাবে।” নীচের স্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এরাই আগামী দিনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।