রয় কৃষ্ণ ফাইল চিত্র
মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে এফসি কাপের সেই ম্যাচে তাদের খেলা দেখে তেমন মনে হল না। আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল প্রথম ম্যাচ থেকেই ছুটছে। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেলেন রয় কৃষ্ণরা। মরসুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে গত বারের আইএসএল-এর রানার্সরা।
এ বারের সবুজ মেরুন দলে একাধিক ফুটবলার। দীপক টাংরি, হুগো বৌমাসের মতো ফুটবলারদের কিছু দিনের অনুশীলনেই নিজের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন হাবাস। প্রথম গোলটাতে সেই পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। ৩৯ মিনিটে ডান দিক থেকে ভেসে আসা কর্নারে মাথা ছোঁয়ান কার্ল ম্যাকহিউ। গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রয় কৃষ্ণ ব্যাক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। জন্মদিনে গোল পেলেন শুভাশিস বসু। বাঁ দিক থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের ক্রস পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বাঁ পায়ে ট্র্যাপ করে পিছনের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ঘুরে যান শুভাশিস। বাঁ পায়ের শটে গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুকে বোকা বানিয়ে গোল করেন বাঙালি ফুটবলার। গোল করার পর বারবারই আক্রমণে উঠতে থাকেন শুভাশিস। তবে আর গোল পাননি তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে ক্লেইটন সিলভার শট বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর সিংহ। এ ছাড়া সে ভাবে আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি বেঙ্গালুরু এফসি।
অন্যদিকে, বারবার নিজেদের মধ্যে জায়গা বদল করে পরিকল্পনা মাফিক খেলতে থাকেন সবুজ-মেরুন ফুটবলার। মাঝমাঠে ব্লক করার পাশাপাশি গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে এটিকে মোহনবাগান।
বারবার আক্রমণ তুলে আনলেও বেঙ্গালুরুর গোলের দরজা খুলছিল না। বেশ কয়েকবার প্রতিআক্রমণে উঠলেও দীপক বা সুমিত রাঠিদের কাছে ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন অজয় ছেত্রী, সুরেশ সিংহরা। সুনীল ছেত্রী সে ভাবে বলও পাননি। দু’প্রান্তে রশান সিংহ ও উদান্ত সিংহ সে ভাবে প্রভাব ফেলতে না পারায় বেঙ্গালুরুর আক্রমণ দানা বাঁধেনি। দ্বিতীয়ার্ধে উদান্তা, সুনীলদের তুলে নেন বেঙ্গালুরু এফসি কোচ মার্কো পেজাইউলি।
শনিবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মলদ্বীপের মাজিয়া এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন এটিকে মোহনবাগান।