নজরে: দুরন্ত ছন্দে থাকা কৃষ্ণই ভরসা সবুজ-মেরুনের। ফাইল চিত্র
সাম্প্রতিক দুই মরসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেরা দুই বিদেশি স্ট্রাইকার তাঁরাই। এটিকে-মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণ এবং জামশেদপুর এফসি-র নেরিউস ভাল্সকিস।
ফিজি থেকে আসা রয় আর লিথুয়ানিয়া থেকে আসা ভাল্সকিস ভারতে এসেই পাল্লা দিয়ে গোল করে চলেছেন তাঁদের ক্লাবের হয়ে। গত বছর দু’জনেই তাঁদের ক্লাবের হয়ে করেছিলেন ১৫টি করে গোল। আর এ বারও তিন ম্যাচে তিন করে গোল করে ফেলেছেন দু’জনে। পার্থক্য এটাই, তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয় কৃষ্ণের ক্লাব এটিকে-মোহনবাগান যখন আইএসএলের দু’নম্বরে তখন তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট-সহ ভাল্সকিসের জামশেদপুর এফসি রয়েছে ৮ নম্বরে। এখনও জয় পায়নি তারা। এই অবস্থায়, সোমবার সন্ধ্যায় ভাস্কোর তিলক ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে এই দুই ক্লাব। যে ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ কৃষ্ণ বনাম ভাল্সকিসের দ্বৈরথ।
কেবল ভাল্সকিসই নন। ঝাড়খণ্ডের ক্লাবটির কোচ আওয়েন কয়েলের হাতে রয়েছে আরও তিন মোক্ষম অস্ত্র। রক্ষণে স্কটল্যান্ডের মাদারওয়েল এফসি ক্লাবের অধিনায়কত্ব করে আসা স্টপার পিটার হার্টলি। আক্রমণে ‘ফ্রি-ম্যান’ ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড আলেক্সান্দ্রে লিমা। আর ডান প্রান্তে ভারতীয় জ্যাকিচন্দ সিংহ।বিপক্ষের অস্ত্র সম্পর্কে ভাল জানেন বলেই সতর্ক এটিকে-মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। তিনি বলেন, ‘‘আওয়েনকে চিনি। ও দলটাকে ভাল তৈরি রাখে। জামশেদপুর বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। এখনও জয় না পাওয়ায় ওদের জেতার তাগিদ বেশি থাকবে।’’
সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচের পক্ষে স্বস্তির ব্যাপার, তিরিদের অটুট রক্ষণ। তিন ম্যাচে চার গোল করলেও এখনও পর্যন্ত বিপক্ষ গোল করতে পারেনি তাঁদের বিরুদ্ধে। সেখানে জামশেদপুর গোল করলেও (৪টি) রক্ষণে ভুলত্রুটির জন্য গোল খেয়েছে তার চেয়েও বেশি (৫টি)।
হাবাস সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই সোমবার দ্রুত গোল তুলে নিতে চান বিপক্ষের মনোবলে ধাক্কা দিয়ে। আক্রমণে জোর বাড়াতে এই ম্যাচে তাই ফিরতে চলেছেন এদু গার্সিয়া। সাংবাদিক বৈঠকেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন রয় কৃষ্ণদের স্পেনীয় কোচ। তবে সূত্রের খবর, এই ম্যাচে ডেভিড উইলিয়ামসকে বাইরে রাখতে পারেন তিনি। হাবাসের কথায়, ‘‘আমাদের সবাই যেমন আক্রমণে ঝাঁপাতে পারে, তেমন রক্ষণ সামলাতেও দক্ষ। তবে মাঝমাঠে আরও সৃষ্টিশীল ফুটবল খেলতে হবে।’’ জাভি হার্নান্দেসের চোট রয়েছে। তবে তিনি খেলবেন বলেই আভাস মিলেছে রবিবারের অনুশীলনে। বিপক্ষের জ্যাকিচন্দ যাতে বিষাক্ত সব ক্রস ভাসিয়ে বিপদ না ডেকে আনে, তার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে শুভাশিস বসু এবং
সন্দেশ জিঙ্ঘনকে। বক্সের সামনে জটলার মধ্যে বল পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ভাল্সকিস। তাঁকে বোতলবন্দি করতে হাবাস তৈরি রাখছেন তিরি ও কার্ল ম্যাকহিউকে। আর বিপক্ষের লিমার থ্রু বাড়ানো বন্ধ করার দায়িত্ব জাভি, এদু এবং জয়েশ রানে বা প্রণয় হালদারের মধ্যে যে খেলবেন, তাঁদের উপরে। আর গোল করার জন্য সবুজ-মেরুন শিবিরের ভরসা রয় কৃষ্ণ তো রয়েছেনই।