দুই গোল মেশিন রয় কৃষ্ণ ও ডেভিড উইলিয়ামসকে ছাড়াই সম্ভবত এএফসি কাপ খেলবে সবুজ-মেরুন। ফাইল চিত্র
এএফসি কাপে অংশ না নিলে ঝুলবে নির্বাসনের খারা। এদিকে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুদের বেঙ্গালুরু এফসি এএফসি কাপ খেলতে রাজি। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস পূর্ণ শক্তির দল পাঠাচ্ছে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই করোনা অতিমারির মধ্যেও মলদ্বীপে এএফসি কাপ খেলতে যাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। ফলে কোভিড আতঙ্ককে সামনে রেখে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও এএফসিকে চিঠি লিখে খেলা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। তবে এতে লাভ হল না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে এএফসি কাপ খেলতে আগামী ১০ মে মলদ্বীপে যাচ্ছেন সন্দেশ জিঙ্ঘন, অরিন্দম ভট্টাচার্যরা।
গত মরসুম শুরু হওয়ার আগে থেকে এই এএফসি কাপকে পাখির চোখ করেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সেই আশা পুরণ হচ্ছে না। করোনার জন্য ফিজিতে লকডাউন চলছে। তাই রয় কৃষ্ণর আসার সম্ভাবনা খুবই কম। এই ভাইরাসের দাপটে ডেভিড উইলিয়ামস, কার্ল ম্যাকহিউয়ের দলে যোগ দেওয়া নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে মুখ্য প্রশিক্ষক আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ও তিরিকে আনার চেষ্টা করছেন কর্তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই দুজন একেবারে মলদ্বীপে যোগ দেবেন। ফলে আসন্ন এএফএসি কাপে বাধ্য হয়েই ভাঙ্গাচোরা দল পাঠাচ্ছে সবুজ-মেরুন।
এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দত্ত বলেন, “আমরা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। বেঙ্গালুরুও খেলতে যাচ্ছে। তাই এএফসি আমাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছে। সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। একাধিক বিদেশি আসতে পারবে না। তবুও নিয়ম মেনে আমাদের খেলতেই হবে।” ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস এএফসি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে লাভ হয়নি। বরং যা শোনালেন তাতে সবুজ-মেরুনের কাছে বেশ চাপের ব্যাপার। তিনি বলেন, “এটিকে মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ১৪ মে হলেও ওদের কিন্তু ১০ মে সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। এর পর খেলা শেষ হয়ে গেলেই একদিনের মধ্যে মলদ্বীপ ছাড়তে হবে। এটাই সেই দেশের নিয়ম। তাই না খেলে উপায় নেই।”
আইএসএল শেষ হওয়ার পর থেকেই ফুটবল বন্ধ। ফুটবলাররা অনুশীলনের মধ্যে নেই। এই অতিমারির জন্য প্রস্তুতি শিবির পরে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন কর্তারা। এমন অবস্থায় প্রতিযোগিতায় দলের ভাল খেলা নিয়ে চিন্তার কালো মেঘ জমা হতে শুরু করেছে। যদিও এএফসি কাপের কথা মাথায় রেখে হাবাসের তরফ থেকে ফুটবলারদের অনলাইনে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেভাবেই ফিটনেস বজায় রাখছেন প্রীতম, প্রণয়, প্রবীররা। বৃহস্পতিবার ফুটবলারদের কোভিড পরীক্ষাও করা হবে।
প্রতিযোগিতার ‘ডি’ গ্রুপে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া এফসি। চতুর্থ দল হিসেবে গ্রুপে যোগ দেবে প্লে-অফে জয়ী দল। বেঙ্গালুরু ও ইগলস এফসি ম্যাচে ১৪ মে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে।