উদ্বেগ: দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনা জিতেও অসন্তুষ্ট আভা। নিজস্ব চিত্র
আভা খাটুয়া, সুরভি বিশ্বাস, নভজিৎ ধীঁলো, কার্চনর চৌধুরীরা একের পর এক সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ জিতছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে। অথচ জাতীয় শিবিরে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনজাত খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে গুরুতর অভিযোগ উঠল। অ্যাথলিটদের দাবি, দু’বেলা অনুশীলনের পর দেওয়া হচ্ছে না অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রিকভারি পানীয়ও। শোনা যাচ্ছে, সাইয়ের বাজেট কমে যাওয়াতেই এই হাল।
টোকিও অলিম্পিক্সের জন্য পাতিয়ালা সাইতে চলছে শিবির। সেখানে দেশের সেরা অ্যাথলিটরা রয়েছেন। সবারই লক্ষ্য যোগ্যতামান পেরিয়ে জাপানযাত্রা। এই মুহূর্তে মেয়েদের শটপাটে দেশের সেরা আভা সোমবার পাতিয়ালা থেকে বলে দিলেন, ‘‘এপ্রিল মাস থেকে অলিম্পিক্সের শিবিরে আছি। প্রথম মাসে একবার প্রোটিনজাত খাবার দেওয়া হয়েছিল, তারপর থেকে সব বন্ধ। বারবার কোচেদের কাছে চেয়ে চেয়েও তা পাচ্ছি না।’’ রাজ্য মিটে সোনা, রাঁচিতে আন্তঃ রাজ্য মিটে নেমে সোনা এবং নেপালে সম্প্রতি দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনা জিতেছেন আভা।
ইভেন্ট বদলে হেপ্টাথলন থেকে শটপুটে গিয়েই একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘নেপালে সোনা জিতেছিলাম। রাজস্থানের কার্চনর ব্রোঞ্জ পেয়েছিল। ওঁদের রাজ্য সরকার সেজন্য তিন লাখ টাকা দিয়েছে। সেটা দিয়েই প্রোটিনজাত খাবার কিনে খাচ্ছে। আমি কোনও আর্থিক পুরস্কার পাইনি। ফলে সমস্যায়।’’ একই অবস্থা আর এক বঙ্গ কন্যা নেপালে ডিসকাসে রুপোজয়ী সুরভি বিশ্বাসেরও। আভা বলছিলেন, ‘‘আমার লক্ষ্য এশীয় মিটে এবং অলিম্পিক্সের দলে ঢোকা। খাবারই যদি ঠিকমতো না পাই, কী ভাবে এগোব।’’ গরীব কৃষকের মেয়ে আভা যোগ করেন, ‘‘শিবিরে আমাদের কোচিং করাচ্ছেন ইউক্রেনের ইউ রি। স্যারকে প্রতিদিন বলছি, কেন আমাদের প্রোটিনজাত খাবার দেওয়া হচ্ছে না?’’ কোচেরা সাইতে চাকরি করেন। তাই মুখ খুলতে নারাজ। তবে পাতিয়ালা থেকে ফোনে এক নামী কোচ স্বীকার করলেন, ‘‘সাইয়ের বাজেট কমেছে। তাই এগুলো দেওয়া যাচ্ছে না।’’