মায়ের সঙ্গে চা বিক্রি করছেন প্রকাশ। ছবি টুইটার
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) নেটে একসময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণদের বল করেছেন। অসমের সেই স্পিনার প্রকাশ ভগত এখন ধুঁকছেন অর্থের অভাবে। পরিবারকে বাঁচাতে চা, ডালপুরি বিক্রি করছেন তিনি।
২০০২-০৩ মরসুমে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারতীয় দল। কিউই স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে সামলানোর জন্য নেট বোলার হিসেবে একজন স্পিনারকে খুঁজছিল তারা।
তখনই নির্বাচকদের নজরে পড়েছিলেন প্রকাশ। তাঁকে এনসিএ-র নেটে ডাকা হয়। সৌরভ, সচিনদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করেন তিনি। সেই দলের একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে ছবিও রয়েছে তাঁর।
সচিন এবং সৌরভের সঙ্গে প্রকাশ।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে বিহারের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে হ্যাটট্রিক-সহ সাত উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এখন থাকেন অসমের শিলচরে। প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে গিয়ে দোকান খুলে চা এবং ফাস্ট ফুড বিক্রি করাই কাজ তাঁর।
সহবাগের সঙ্গে প্রকাশ।
প্রকাশ বলেছেন, “২০০৯-১০, ২০১০-১১ মরসুমে আমি অসমের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছি। ২০০৭-এ শিলচর আন্তঃজেলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নুরুদ্দিন ট্রফি পেয়েছিল। আমি সেই দলের অধিনায়ক ছিলাম।”
জাহির খানের সঙ্গে প্রকাশ।
২০১১-এ হৃদরোগে বাবার মৃত্যুর পর খেলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। বলেছেন, “সংসারের সমস্ত দায়িত্ব তখন আমার কাঁধে এসে পড়ে। সেই সময় প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। নিয়মিত অনুশীলনে সময় দিতে পারতাম না বলে বাধ্য হয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দিই। তখন থেকেই আমার জীবনে পতন শুরু।”
প্রকাশের সংযোজন, “এখন আমরা একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি। খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি। আগে একটা সংস্থার চাকরি করতাম। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই কাজ চলে গিয়েছে। তখন ১০-১২ হাজার টাকা মাইনে সংসার ভাল ভাবেই চলত। কিন্তু এখন খুব সমস্যা হচ্ছে।”