অশোক ডিন্ডা। —ফাইল চিত্র
বাংলার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির দল থেকে বাদ অশোক ডিন্ডা। নেই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁদের ছাড়াই ১৬ জনের দল গড়া হল শনিবার সিএবি-তে।
শেষ আট বছর ধরে সব ফর্ম্যাটে বাংলার উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি শীর্ষে। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোট ৩৫৭ ম্যাচে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৭১৪। টি-টোয়েন্টিতেই ১৪৪ ম্যাচে ১৪৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। বাংলার এই অভিজ্ঞ সৈনিককে ছাড়াই মঙ্গলবার মুম্বইয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে উড়ে যাবে বাংলা।
বাদ পাওয়ার খবর শুনে ডিন্ডার বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘বাংলার জার্সিতে আর কখনও আমাকে খেলতে দেখা যাবে না। পরের মরসুমে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলব।’’ কিন্তু কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন: অভিষেক হচ্ছে মারকুটে অলরাউন্ডারের? দেখে নিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
কেন বাদ দেওয়া হল বাংলার অন্যতম সফল পেসারকে? সিনিয়রদের নির্বাচক কমিটির প্রধান পলাশ নন্দী বলছিলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফির কথা ভেবেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ডিন্ডাকে। ওর মতো অভিজ্ঞ পেসারকে চার দিনের ফর্ম্যাটে প্রয়োজন। তাই তারুণ্যের উপরে নির্ভর করেই টি-টোয়েন্টি দল গড়া হয়েছে। সিনিয়রদের মধ্যে শুধু মনোজ তিওয়ারিকে দলে রাখা হয়েছে। দেবব্রত দাস ফিরেছে গত বছর স্থানীয় ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।’’
কিন্তু সিএবি-র অন্য সূত্রে খবর, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডিন্ডার উপরে আর নির্ভর করতে পারছে না বাংলা শিবির। ইতিমধ্যেই ডিন্ডার পরিবর্ত খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি দলে ডিন্ডার পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে রবিকান্ত সিংহকে। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কে ইব্রাহিম? ট্রাম্প ‘জানেন’, মন্তব্যে জল্পনা
বাংলার কোচ অরুণ লাল ডিন্ডার ফিটনেস নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না। বিজয় হজারে ট্রফি চলাকালীন অভিজ্ঞ পেসারের সঙ্গে মনোমালিন্যও হয়েছিল বাংলার কোচের। বিজয় হজারে ট্রফিতে তাঁর পারফরম্যান্সও উল্লেখযোগ্য নয়। শুরুর দিকে নতুন বলে উইকেট তুলে নেওয়ার সেই শিল্প তিনি প্রয়োগ করতে পারেননি। স্লগ ওভারে প্রচুর রানও হজম করেছেন। কিন্তু রেলওয়েজের বিরুদ্ধে হারের মুখ থেকে ম্যাচ টাই করার নেপথ্যে তিনিই অন্যতম কাণ্ডারি। তাই বাদ পড়ার খবর পেয়ে ডিন্ডার মন্তব্য, ‘‘অশোক ডিন্ডা বরাবরই লড়াই করেছে। এখনও করবে। অবসরের কথা ভাবছি না।’’