জাতীয় দলে সুনীলদের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ওয়েস্টউড

উইম কোভারম্যান্সের জায়গায় ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে পারেন অ্যাশলে ওয়েস্টউড। সূত্রের খবর, জাতীয় কোচের দৌড়ে যে তিন-চার জনের শর্টলিস্ট ফেডারেশন তৈরি করেছে তাতে অনেকটাই উপরের দিকে রয়েছেন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি কোচ।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৩
Share:

উইম কোভারম্যান্সের জায়গায় ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে পারেন অ্যাশলে ওয়েস্টউড। সূত্রের খবর, জাতীয় কোচের দৌড়ে যে তিন-চার জনের শর্টলিস্ট ফেডারেশন তৈরি করেছে তাতে অনেকটাই উপরের দিকে রয়েছেন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি কোচ।

Advertisement

নতুন বছর শুরুর আগেই সুনীল ছেত্রীদের জন্য কোচ ঠিক করতে চাইছে ফেডারেশন। আইএসএলের রাউন্ড রবিন পর্ব শেষ হলেই এআইএফএফের টেকনিক্যাল কমিটির সভা ডাকা হবে। কমিটির চেয়ারম্যান ভাইচুং ভুটিয়াও সে রকম চাইছেন। সেই সভাতেই কোচ মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যাঁর নাম হয়তো ২০ ডিসেম্বর ফেডারেশনের বার্ষিক সভায় ঘোষিত হবে।

যদিও ইতিমধ্যেই ওয়েস্টউডের সঙ্গে এক দফা কথা বলেছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। জাতীয় দলের উন্নতি কী ভাবে করা যায় তা নিয়ে প্রোজেক্টও জমা দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ। যা দেখে নাকি মুগ্ধ ফেডারেশন সচিব। ফুটবল হাউসে বসে তিনি আজ বললেন, “কার্যকরী কমিটি বিদেশি কোচই চাইছে। কারণ দেশি কোচেদের নিয়ে ঝামেলা হয়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। ওয়েস্টউডের সঙ্গে কথা বলে আমার ভাল লেগেছে।”

Advertisement

নতুন জাতীয় কোচ বাছতে গিয়ে দু’টো ব্যাপার মাথায় রাখছেন ফেডারেশন কর্তারা।

এক) সেই কোচের এ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।

দুই) ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তার অবশ্যই স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।

জাতীয় কোচের চেয়ারে বসার লড়াইয়ে দু’নম্বরে আইএসএলে নর্থইস্ট ইউনাইটেড কোচ রিকি হারবার্ট। তাঁর সঙ্গেও কথা হয়েছে ফেডারেশন সচিবের। দিল্লি থেকে ফিরে হারবার্ট নাকি ইতিমধ্যে জন আব্রাহামের দলকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরের বছর না-ও থাকতে পারেন। যদিও হারবার্টের চুক্তি এক বছরেরই। তাত্‌পর্যেরতিনি ফেডারেশনে কথা বলে যাওয়ার পরই ওই পদের জন্য আবেদন করেন ওয়েস্টউড। লড়াইয়ে ট্রেভর মর্গ্যান আর এলকো সাতোরি থাকলেও সচিবের কথায় মনে হল, তাঁরা দু’জনই অনেকটা পিছিয়ে আছেন। আবার প্রাক্তন জাতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন আবেদন করলেও ফেডারেশনের তালিকায় তিনি নেই। “যাদের একবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ফেরানোর প্রশ্নই নেই,” বলে দিচ্ছেন কুশল।

গত মরসুমে প্রথম বার দল তৈরি করেই বেঙ্গালুরুকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ওয়েস্টউড। হইচই করেন না। ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আই লিগ আর ফেড কাপে খেলা দেশের সব ফুটবলারকেই চেনেন। যে ব্যাপারটা আবেদনকারী অন্য কোচেদের নেই। কিন্তু তাঁর ক্লাব ওয়েস্টউডকে ছাড়বে? কুশল বলছিলেন, “আমি কথা বলেছি। সমস্যা হবে না।”

তবে ফেডারেশন সূত্রের খবর, জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের সহকারী কোচ স্যাভিও মেদেইরাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাঁকে দেওয়া হতে পারে অন্য কোনও দায়িত্ব। আবার ওয়েস্টউড জাতীয় কোচের দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও মোহনবাগানে কোচিং করানোর কার্যত আর সম্ভাবনা নেই সুভাষ ভৌমিকের। কারণ তাঁর এএফসির ‘এ’ লাইসেন্স পাওয়ার প্রায় সম্ভাবনা নেই।

সুভাষকে নিয়ে বাগানের ঘটনায় বিরক্ত ফেডারশন সচিব বললেন, “লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও কেন মোহনবাগান ওকে টিডি বাছল জানি না। কোনও ক্লাবই তো এ রকম করেনি! নতুন নিয়মটা আমরা দু’বছর আগে বলে দিয়েছিলাম। ওরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে। আমাদের কিছু করার নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement